শিমুল মাহমুদ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এছাড়া পুনঃনির্বাচনে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে জয় লাভে সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র বলতে শুধু পুলিশ নয়, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ব্যবহার করেছে । এর আগে দুই ঘন্টার বৈঠকে বসেন নীতি নির্ধারণী ফোরাম, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের যোগসাজশে বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, আগের দিন সন্ধ্যা থেকে কারচুপি শুরু হয়েছে। আমরা শুনতে পেরেছি বিভিন্ন কেন্দ্রে র্যাব – পুলিশের পাহারায় ছাত্রলীগ – যুবলীগ সিল দিয়েছে। সকালে যখন কেন্দ্রে ভোটাররা আসতে শুরু করে, তখন আবারো হামলা শুরু করে, বিরোধী দলের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। পুলিশ ফাঁকা গুলি করে ভোটারদের তাড়ানোর ব্যবস্থা করে। তাই তখন অনেক কেন্দ্রে প্রার্থীরা ভোট বর্জন করে।
বিদেশী অবজারভারদের যে কথা বলা হচ্ছে, তার মাধ্যমে জনগণের আই ওয়াশ করা হয়েছে। মূল অবজারভেশনে যাদের থাকার কথা তাদের আনা হয়নি। অনেকের প্রশ্ন থাকতে পাওে, সরকারের এতো অত্যাচার, নির্যাতনের পরেও আমরা নির্বাচনে গেলাম কেনো? আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, আমরা মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম, আমরা সরকার পরিবর্তনে বিশ্বাসী তাই নির্বাচনে গিয়েছি। সম্পাদনা : আবদুল অদুদ