নৌকার জয়ে খুশি ব্যবসায়ী নেতারা, বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ার প্রত্যাশা
স্বপ্না চক্রবর্তী : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়ে খুশি হয়েছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী নেতারা। তাদের দাবি কোনো ধরনের হরতাল-অবরোধ ছাড়াই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ায় বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে দেশে-বিদেশি বিনিয়োগ আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও চলমান মেগা প্রকল্পে গতি সঞ্চার করে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলেও মত প্রকাশ করেন তারা।
দেশের প্রথম সারির ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে প্রথমেই ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন সূচক ‘ডুয়িং বিজনেস’ এ উন্নতি ঘটাতে হবে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই ব্যবসাবান্ধব সরকার। একটি নতুন দেশ তৈরিতে বর্তমান সরকারের দেওয়া ইশতেহারে আস্থা রেখে সাধারণ জনগণ যেভাবে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তৈরি করেছেন এতে করে দেশের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে গেলো। জবাবদিহিতা এবং দুর্নীতি দমনে সক্ষম হলে এই সরকার ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, নতুন সরকারের হাত ধরে আমাদের যেসব অভিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা আছে সেগুলো পূরণ হবে। এসডিজির কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে যে পরিবেশ, তা প্রকৃতপক্ষে আরও ব্যবসাবান্ধব হয়ে উঠবে। এ সরকার গত ১০ বছরে যেভাবে কাজ করেছে, যেভাবে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং দৃশ্যমান উন্নয়নের একটি নজির রাখতে পেরেছে, আমরা আশা করবো এটা আগামীতে আরও বেশি হবে। একই কথা বলেন পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানও। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এবং বিশেষ করে ব্যবসাকে এগিয়ে দেয়ার জন্য ব্যবসার যে অনুকূল পরিবেশ আছে, সেটাতে আরও গতি আনতে হবে। তিনি বলেন, ব্যবসা উন্নয়ন সূচক ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে এখনও কিন্তু আমরা ১৭৬তম স্থানে আছি, সে জায়গা থেকে উঠে আসার রাজনৈতিক সদিচ্ছা আরও বাড়াতে হবে। সূচকটির উন্নয়নে প্রধামন্ত্রীর সদিচ্ছা আছে। সূচকটির উন্নয়নে সরকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিসকে প্রাধান্য দিতে হবে, যাতে একটা মানুষ ব্যবসা শুরু করতে গেলে সার্বিক সহযোগিতা পায়। আমাদের দেশের ৯৯ ভাগ ব্যবসায়ী ভালো। ১ শতাংশের জন্য দরজা বন্ধ করে রাখা যাবে না, এটা খোলা রাখতে হবে।
গৃহায়ণ শিল্পে বিদ্যমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আহ্বান জানান রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট শামসুল আলামিন কাজল। তিনি বলেন, পরপর তিন বার আওয়ামী লীগের জয়ে আমরা দলটিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই হাউজিং ব্যবসায়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। এই ইশতেহারেও মানুষের বাসস্থানের সমস্যার সমাধানের কথা বলেছেন বিশেষ করে। ফলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করছি এই ইশতেহার বাস্তবায়নে তিনি আন্তরিক হবেন।
এদিকে নতুন সরকারের হাত ধরে ব্যবসার আরও অনেক বেশি উন্নয়ন হবে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাতলুব আহমেদ। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে নতুন সরকারে পূর্বের ধারবাহিতাই থাকবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। দেশে উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চলছে, যেসব বিষয় আছে, সেই সব বিষয়ের ধারাবাহিতা চাই আমরা। অতীতের মতোই ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ বজায় থাকবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান