আমিরুল ইসলাম : সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান বলেছেন, ২০৫০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে প্রায় ২০ হাজার ডলার। তখন আমরা পৃথিবীতে ৩০তম অর্থনীতির দেশ হবো। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার হবে ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। আমাদের অর্থনীতির আকার তেরো গুন বেড়ে যাবে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগের ইশতেহারে সমস্ত কিছু লেখা আছে। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের ইশতেহারের প্রায় ৯০ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০১৮ সালের ইশতেহারে যেগুলো বাকি আছে সেগুলা বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশে একশটি শিল্পপার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। বর্তমানে পোশাক ভিত্তিক যে শিল্প উন্নয়ন হয়েছে সেখান থেকে আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ভিত্তিক দেশে পরিণত হবো। আমরা একটা মধ্যম রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরিত হয়ে যাবো। ২০১৫ থেকে ২০৩০ এর মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় হবে পাঁচ থেকে সাত হাজার ডলার। ২০৪১ সালে সতেরো আঠারো হাজার ডলার হয়ে যাবে। এটা আমাদের লক্ষ্য। গ্রামাঞ্চলেও শহরের সুবিধা দেওয়া হবে। আমাদের অর্থনীতির মূল শক্তি হচ্ছে গ্রামের উন্নয়ন। এখন দেশে গরিব লোকের পরিমাণ খুবই কম। দরিদ্র ও হতদরিদ্রের পরিমাণ আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে শূন্যে নামিয়ে নিয়ে আসা হবে। ২০০৮ সালে ৩৫০ ডলার মাথাপিছু আয় ছিলো এখন সেটা প্রায় ২ হাজার ডলার। যার জন্য বাংলাদেশকে রোল মডেল বলা হচ্ছে।
সরকারের এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমাদের পররাষ্ট্রনীতিকে আরো প্রো-অ্যাকটিব করতে হবে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ভিশনারি হবে। আমরা একটা লিডারশিপ রোল এ থাকবো। সাউথ এশিয়ান এবং আশিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে আমরা একটা যোগসূত্র তৈরি করবো। দুই নম্বর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা দেশকে। তিন নম্বর হচ্ছে ডিজিটাল সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করে বিশে^ এর ব্যবসা প্রসারিত করা। চার নম্বর হচ্ছে রাজনৈতিক যে স্থিতিশীলতা দেশে এসেছে সেটা রক্ষা করতে হবে। পাঁচ নম্বর হচ্ছে জিরো টলারেন্স দুর্নীতির বিরুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে ও টেরোরিজমের বিরুদ্ধে। ছয় নম্বর হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করার জন্য যা করা প্রয়োজন সেটাই করবে সরকার। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ব্যতীত আর কোনো মৌলবাদী শক্তি থাকবে না বলে মনে করেন এই সাবেক কূটনীতিক।