বাশার নূরু : আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের লাশ দেশে আনা হচ্ছে আজ। কাল রোববার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বাবা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের কবরেই তার মরদেহ দাফন করা হবে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে তার মরদেহ বহনকারী উড়োজাহাজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবাহান গোলাপ গতরাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম-এর মরদেহ ৫ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় আনা হচ্ছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সযোগে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছবে আশরাফের মরদেহ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দ তাঁর মরদেহ গ্রহণ করবেন।
এরপর সন্ধ্যা ৭টায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ ২১ বেইলী রোডস্থ তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেলিকপ্টারযোগে মরদেহ কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে এবং দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মরহুমের তৃতীয় নামাজে জানাজা দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। পরে মরদেহ ঢাকায় এনে বাদ আছর বনানী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও সংসদ সদস্যরা আশরাফের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
সৈয়দ নজরুল ইসলামের কবরেই যেন আশরাফের লাশ দাফন করা হয়, এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছে তার পরিবার। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আব্দুর রহমান বলেন, যেহেতেু বনানী কবরস্থানে জায়গার স্বল্পতা রয়েছে তাই সৈয়দ নজরুল ইসলামের কবরেই সৈয়দ আশরাফকে দাফন করার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সময় স্বল্পতার কারনে আশরাফের মরদেহ দলীয় কার্যালয়ে নেয়া হচ্ছে না বলে জানান আব্দুর রহমান।
সৈয়দ আশরাফ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব ও ইকবাল খান