নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্যই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তারপরেই আবার ফিরেছেন চির পরিচিত ক্রিকেট মাঠে। রাজনীতি আর ক্রিকেট দুই অঙ্গনেই এখন ‘টক অব দ্য টাউন’ মাশরাফি বিন মর্তুজা। একই দিনের সকালে রাজনৈতিক কার্যক্রম তো বিকেলে ক্রিকেট মাঠে। মাশরাফি যে দুটিই এক সঙ্গে পারেন, সেটি দেখিয়েছেন। তবে বিপিএলের শুরুর দিন থেকে তিনি রাজনীতিবিদ পরিচয় তুলে রেখে একটি পরিচয়েই থাকতে চান, শুধুই ক্রিকেটার, মাঠের ক্রিকেটার।
সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অভিনন্দন পাচ্ছেন সবার কাছে। রাজনৈতিক পরিচয়টা সাময়িকভাবে সরিয়ে খেলার মাঠের নেতা হিসেবে আবারও শুরু করা একটু হলেও যে কঠিন মাশরাফি, সেটি মানছেন, ‘একটা থেকে আরেকটায় আসা এই সময়টা খুব কঠিন। খুব দ্রুত, সংক্ষিপ্ত সময়ে এটা করতে হচ্ছে। তবে আমি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এখন দেখা যাক।’ সাংসদ হিসেবে প্রথম খেলতে নামছেন। পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে মাঠে নামাটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন মাশরাফি। সবার কাছে মাশরাফির এখন একটাই অনুরোধ, তাকে যেন শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই দেখে সবাই। ‘অন্য সময় যেভাবে খেলি, সেভাবেই খেলব। খেলোয়াড় হিসেবেই এখানে আমি পরিচিত এবং মাঠেও নামছি খেলোয়াড় হিসেবে, সংসদ সদস্য হিসেবে না। আমি আশা করি আপনারা সবাই আমাকে সেভাবেই দেখবেন।’
এবারের আগে মোট পাঁচবারের বিপিএলে চারবারই শিরোপা তুলে ধরেছেন মাশরাফি একাই। সাফল্যের এই রহস্যটা কী, আগেও বিচ্ছিন্নভাবে নানা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। গতকাল আরেকবার বললেন, ‘আগের বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, প্রতিবারই এ চাপ নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করি। গতবার ছাড়া প্রতিবারই আমাকে এই চাপ নিয়ে শুরু করতে হয়েছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নের সব সময়ই আলাদা একটা চাপ থাকে। আপনি যে ভালো দল গুছিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবেন এই সংস্করণে, এই নিশ্চয়তাও নেই।’
টুর্নামেন্টে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স কত দূর যাবে, সেটি নিয়ে পরে ভাবলেও চলবে। আপাতত তাদের ভাবতে হচ্ছে চিটাগং ভাইকিংসকে নিয়ে। রংপুর-চিটাগং ম্যাচ দিয়েই শুরু হয়ে যাবে বিপিএলের ষষ্ঠ সংস্করণ।