রাজস্ব আয় বাড়ানো, আর্থিক খাতের সংস্কার ও ব্যবসা পরিবেশ উন্নয়নে অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি
সোহেল রহমান : রাজস্ব আয় বাড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ, আর্থিক খাতের সংস্কার ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার তার পুরনো দপ্তরে (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়) সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা কর দেয় তাদেরকে আহত না করেই রাজস্ব আয় বাড়ানো হবে। যারা কর প্রদানের যোগ্য তাদের সবাইকে করের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে আমি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবো। একই সঙ্গে কোন্ খাতে কত কর হার নির্ধারণ করা যায় এবং কোন্ খাত থেকে বেশি রাজস্ব আদায় হবেÑ এগুলো চিহ্নিত করা হবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থনীতির ড্রাইভিং সিটে বসবে বেসরকারি খাত। যারা চলে গেছেন বা বিনিয়োগ করছেন না আগামী পাঁচ বছরে তাদের অনেককেই ফিরিয়ে আনবো। ‘কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস’ পরিবেশ সহজ করবো। ব্যবসার পরিবেশ উন্নত হবে। ফলে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ অনেক আসবে। আমার মূল লক্ষ্য হচ্ছেÑ প্রো-ডেভেলপমেন্ট, প্রো-গ্রোথ, প্রো-ম্যানুফ্যাকচারিং ও প্রো-কর্মসংস্থান করা।
তিনি বলেন, আমরা এতদিন অনেক অবকাঠামো তৈরি করেছি। সেগুলোর কাজ এগিয়ে চলছে। তবে এগুলোর পাশাপাশি ‘বিশ^াস’ হচ্ছে শক্তিশালী অবকাঠামো। মানুষকে আস্থার জায়গায় নিয়ে আসা হবে। মানুষের মধ্যে যখন বিশ^াস জন্ম হবে, তখন তারা সম্পুর্ণরূপে কাজ করার জন্য এগিয়ে আসবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হলেও একটু জায়গায় বিতর্ক আছে। সেটি হচ্ছে আর্থিক খাতে খারাপ অবস্থা। তবে যতটা শুনতে পাই, অবস্থা ততটা খারাপ নয়। যদি ব্যাংক খাত বা আর্থিক খাত অতটা খারাপ হতো, তাহলে সার্বিক অর্থনীতি এতটা উন্নত হলো কীভাবে, অর্থনীতিতে গতিবেগ আসলো কীভাবে, প্রবৃদ্ধি হলো কীভাবে? তবে যেসব যেটুকু সমস্যা আছেÑ তা সমাধানের সহজ উপায় হচ্ছেÑ ‘সংস্কার’। যেসব জায়গায় দীর্ঘদিন হাত দেয়া হয় নাই, পুরনো অনেক আইন আছে সেগুলো এখনো কার্যকর। এসব বিষয়ে ভেবে দেখা হবে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত-এর প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, তিনি (মুহিত) অনেক কিছুই করেছেন। অর্থনীতি গতিশীল করতে মুহিত ভাইয়ের অবদান রয়েছে। তিনি অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে কাজ করেছেন। তিনি যে বয়সে কাজ করেছেন, আমরা ওই বয়সে সেটি আমরা পারবো কি না জানি না। সম্পাদনা : ইকবাল খান