স্পোর্টস ডেস্ক : হোসে মরিনহোর অধীনে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে যেন কেউ চিনতেই পারছিল না। যেখানে সেখানে হেরে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। নতুন কোচকে পেয়েই যেন ঝলসে উঠেছে সেই ম্যানইউ। টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছে তারা, দলের অধিকাংশ তারকাই ফর্মে ফিরেছেন। তাহলে এত দিন দলটির সমস্যা কোথায় ছিল? মিডফিল্ডার পল পগবার ভাই ম্যাথিয়াস পগবা মনে করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমস্যার মূলে ছিলেন ছাঁটাই হওয়া কোচ হোসে মরিনহো! মরিনহো থাকলে ম্যানইউ ভালো করতে পারে না।
লিভারপুলের কাছে ৩-১ গোলে হারের রাতেই কোচের পদ থেকে মরিনোহেক ছাঁটাই করেছিল ম্যানইউ কর্তৃপক্ষ। তার জায়গায় এসেছেন হয়েছে সাবেক খেলোয়াড় ওলে গানার সুলশারকে। সুলশারের ছোঁয়ায় পুনরুজ্জীবিত ইউনাইটেড কার্ডিফ সিটি, হাডার্সফিল্ড টাউন, বোর্নমাউথ, নিউক্যাসল আর দ্বিতীয় বিভাগের রিডিংকে হারিয়ে আছে দুর্দান্ত ফর্মে। মরিনহোর অধীনে যে খেলোয়াড়েরা ফুটবল খেলা ভুলে গিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছিল, তারাই এখন দুর্দান্তভাবে ফর্মে ফিরে এসেছেন।
পল পগবা, রোমেলু লুকাকু, মার্কাস রাশফোর্ড, জেসে লিনগার্ডের মতো তারকাদের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনছেন সুলশার। অবস্থা এখন যেভাবে দেখা যাচ্ছে সেখান থেকে বোঝা যাচ্ছে আসলেই মরিনহো একটা সমস্যাই ছিলেন রেড ডেভিলদের জন্য।
মরিনহোর সমস্যা নিয়ে পগবার ভাই ম্যাথিয়াস পগবা মনে করছেন সেটিই, ‘অবশ্যই। দলের সবচেয়ে বড় সমস্যা মরিনহো নিজেই ছিল। ড্রেসিংরুমের ভেতরে, ড্রেসিংরুমের বাইরে- মরিনহোই মূল সমস্যা ছিল। আর কেউ নয়।’
মরিনহোর কারণেই তার ভাই পল এত দিন ভালোভাবে খেলতে পারেননি, এমনটাই ভাবছেন তিনি, ‘আমি আমার ভাইকে চিনি। আপনি ওর ওপর বিশ্বাস রেখে যদি বলেন যে যাও, নিজের মতো খেল, সে বাকি দায়িত্ব ঠিকঠাকভাবে পালন করে আসবে। আমার যা মনে হয়, মরিনহো সব সময় সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চাইত, দলের সবচেয়ে বড় তারকা হতে চাইত।’
সুলশারের অধীনে পাঁচ ম্যাচ খেলে এর মধ্যেই চার গোল করেছেন পগবা। মরিনহোর অধীনের সময়জুড়ে পগবার গোল ছিল যেখানে মাত্র তিনটি! আগামী ১২ জানুয়ারি শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে টটেনহামের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে রেড ডেভিলরা। উড়ন্ত ম্যানইউ’র পরীক্ষা তখনই বোঝা যাবে।