মুদ্রানীতিতে সম্প্রসারণমূলক প্রবৃদ্ধির নীতি অব্যাহত থাকায় খেলাপী ঋণ বেড়েছে
মুনিরুল আলম : ব্যক্তি খাতে বা প্রাইভেট সেক্টরে সম্প্রসারণ মূলক ঋণ প্রবাহ দীর্ঘ সময় ধরে চলমান থাকায় খেলাপী ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা এমন মন্তব্য করে বলেছেন, বছরে দুইটি মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবাহের বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়। এর একটি জানুয়ারী থেকে জুন মেয়াদের জন্য এবং অপরটি জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। চলতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক জানুয়ারী থেকে জুন মেয়াদের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়নের কাজ করছে।
এদিকে বিগত কয়েক বছরে ব্যক্তি খাতে ঋণ প্রবাহ ছিল উল্লেখযোগ্য। প্রতি বছরই আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয় ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ বা সাড়ে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত। গত বছর জুন শেষে ব্যক্তি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিলো ১৬.৯৫ শতাংশ।
একই সময়ে খেলাপী ঋণের পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। গেলো বছর সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপী ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় মোট ঋণের ১১.৪৫ শতাংশে। জুন ২০১৮ শেষে এই হার ছিলো ১০.৪১ শতাংশ আর ডিসেম্বর ২০১৭ শেষে ছিলো ৯.৩১ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে জানিয়ে বলেন, একটানা দীর্ঘ সময় ধরে সম্প্রসারণ মূলক ঋণ প্রবৃদ্ধির নীতিমাল চালু রাখার কারণে খেলাপী ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি ব্যাংক খাত। ঋণ প্রবাহের অবাধ সুযোগে অসৎ ব্যক্তিরা ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ হচ্ছে আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিরন্তর প্রচেষ্টা করা।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক খাতের ভিত্তি সুদৃঢ় করণের পাশাপাশি সরকারের কর্মকা- ও লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়ণে সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করা।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ছে। এদিকটা লক্ষ্য রেখে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করার চেষ্ঠা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্পাদনা : ইকবাল খান