সাবমেরিনে চড়ে টাইটানিক ভ্রমণের উদ্যোগ টিকেটের দাম ১ লাখ ডলারের বেশি!
কায়কোবাদ মিলন : আটলান্টিকের সাড়ে ১২ হাজার ফুট তলদেশে নিমজ্জিত হয়ে থাকা বিশ্বখ্যাত টাইটানিক স্বচক্ষে দেখার সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ওশেনগেট। সমুদ্র বিষয়ক গবেষকদের সঙ্গে একটি সাবমেরিনে চড়ে যাত্রী বা পর্যটকদের যাওয়ার সুযোগ মিললেও টিকেটের দাম আকাশচুম্বি। ডয়েচে ভেলে
চমৎকার নির্মাণশৈলি, বিশালত্ব ও ভয়াবহতম দুর্ঘটনার কারণে টাইটানিকের নাম শোনেনি এমন লোক বিশ্বে বিরল। ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিলের রাতে আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লাগার ৩ ঘন্টার মধ্যে জাহাজটি ডুবে যায় এবং বহু মানুষ মারা যায়। জাহাজের বিশেষত্বের মধ্যে একটি হল, এর প্রথম শ্রেণীর টিকেটের উচ্চ মূল্য। বিশ্বের অতি ধনীরাই এর টিকেট সংগ্রহে সমর্থ হয়েছিলেন।
নিমজ্জিত প্রবাদতূল্য টাইটানিক দেখতে আগ্রহীদের জন্য ওশেনগেট এই গ্রীষ্মে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করতে যাচ্ছে। ছোট্র একটি সাবমেরিনে করে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে। প্রতি যাত্রীকে এজন্য দিতে হবে ১লাখ ৫ হাজার ১ শত ২৯ ডলার।
ওশেনগেটের প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা স্টকটোন রাশ গত ৯ বছর ধরেই সমুদ্রকেন্দ্রিক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি গভীর সমুদ্রে মনুষ্যবাহী অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করেন। সেই লক্ষে তিনি গবেষকদের সহযাত্রী করে সমুদ্রের তলদেশকেন্দ্রিক বাণিজ্যের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। ডয়েচে ভেলেকে তিনি বলেন,আমাদের গ্রহের ভবিষ্যৎ কিন্তু সমুদ্র। সে কারণেই বিষয়টিকে আমি ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গীতেও বিবেচনা করেছি।
উল্লেখ্য,১৯৯৭ সালে নির্মিত কেট ও ডি ক্যাপ্রিও অভিনীত টাইটানিক ছবিটি ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করলে এই জেনারেশনের দর্শক জাহাজের যাত্রীদের করুণ পরিণতি সম্পর্কে বিশদ জানতে পারে। ১৯৮৫ সালে নিমজ্জিত টাইটানিকের প্রথম সন্ধান মেলে। ওশেনগেট গবেষক ও পর্যটকদের ছোট একটি সাবমেরিনে করে টাইটানিকে নিয়ে যাবে এবং জলযানটির নাম দেয়া হয়েছে টাইটান।
টাইটানে একজন পাইলট, একজন গবেষক এবং তিন পর্যটক থাকবেন এবং পানির নীচে তাদের ১০-১২ ঘন্টা ডুবে থাকতে হবে। এদিকে গভীর সমুদ্রবিষয়ক প্রাণী বিজ্ঞানীরা ব্যাপক গবেষণা শুরু করেছেন। কেননা টাইটানিককে ঘিরে কয়েকশত প্রজাতি অভিনব ব্যুহ রচনা করে বসে আছে। উল্লেখ্য, ৯ বছর আগে সর্বশেষ মানুষ টাইটানিকের সান্নিধ্যে এসেছিল। এই সময়ের মধ্যে কি ধরনের পরিবর্তন সাধীত হয়েছে তা নিয়েও লাখ লাখ মানুষের গভীর কৌতুহল রয়েছে।
ওশেনগেট প্রধান নিমজ্জিত টাইটানিক কি পরিমাণ ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে তা নির্ণয়েও আগ্রহী। ওদিকে কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০ সালে এক প্রতিবেদনে বলে,লোহাপ্রেমী এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া আগামি ২০ বছরের মধ্যে টাইটানিককে নিশ্চিন্থ করে ফেলবে। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল