সংবাদ প্রতিদিন : ‘কী বকাটে ছেলে রে বাবা!’ ‘প্রচ- কথা বলে!’ ‘বকবকের জ্বালায় মাথা খারাপ করে দিল!’ এবার থেকে কাউকে এই কথাগুলি বলার আগে দু’বার অবশ্যই ভাববেন। কারণ, কে’ই বা বলতে পারে এই কথার বহরেই হয়তো একদিন বিশ্ব মাত করবে না ওই ব্যক্তি। এই কথার জাদুতেই হয়তো একদিন খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যাবেন তিনি। জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন সকলের কাছে। ঠিক যেমনটা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা জ্যোতিষচন্দ্র শুক্লার ক্ষেত্রে। টানা একশো ঘণ্টা কথা বলে অভিনব বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টি করেছেন যিনি।
জানা গিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি থেকে কথা বলা শুরু করেন উত্তরপ্রদেশে লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা জ্যোতিষ শুক্লা। কথা বলা বন্ধ করেন ৯ জানুয়ারি। মাঝে মাত্র ৩২ বার থামেন তিনি। তৈরি করেন নয়া রেকর্ড। তার হাতে স্মারকপত্র ও পুরস্কার তুলে দিয়েছে গোল্ডেন বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ। তার এমন রেকর্ডে স্বভাবতই খুশি পরিবারের লোকজন। খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সতীশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জেলাশাসক অরুণ কুমার সিং। এই প্রথম নয়, আগে আরও দুটি রেকর্ড তৈরি করেছেন জ্যোতিষচন্দ্র শুক্লা। একটানা ১৪৮ ঘণ্টা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর রেকর্ড রয়েছে তার ঝুলিতে। রয়েছে ১২৩ ঘণ্টা বই পড়ারও রেকর্ড। গোল্ডেন বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এর আগে একটানা ৯০ ঘণ্টা কথা বলে বিশ্বরেকর্ড তৈরি করেছিলেন নেপালের বাসিন্দা অনন্তরাম কেসি। একশো ঘণ্টা কথা বলে জ্যোতিষ শুক্লা ভাঙলেন তার রেকর্ড। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ