সাউথএশিয়া মনিটর : আরাকান জাতিগোষ্ঠির সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মির (এএ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হলো রাখাইন রাজ্যকে কনফেডারেশন হিসেবে দাঁড় করানো। এএ প্রধান মেজর জেনারেল তুন মিয়াত নাইং দ্য ইরাবতীকে এ কথা বলেন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে এখন গ্রুপটির সংঘর্ষ চলছে।
মেজর জেনারেল তুন মিয়াত নাইং বলেন, ‘আমরা ওয়া রাজ্যের মতো হতে চাই। সংবিধানে তাদের ক্ষমতায় বড় ভাগ রয়েছে’। তিনি এএ’র মিত্র ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মির (ইউডাবি�উএসএ) দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, কনফেডারেশান ফেডারেল সিস্টেমের চেয়ে ভালো।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এটা রাখাইন রাজ্যের ইতিহাস এবং আরাকান জনগোষ্ঠির জন্য মানানসই’।
তিনি বলেন, ‘কনফেডারেশানে, আমাদের সিদ্ধান্ত আমাদের নেয়ার এখতিয়ার রয়েছে। কিন্তু একটা সম্মিলিত প্রতিরক্ষা সিস্টেম থাকবে। বাজার নিয়ন্ত্রণ ও পররাষ্ট্র বিষয়ে সমন্বয় থাকবে। নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকারই প্রত্যেক জাতিগত গ্রুপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি’। তিনি বলেন, সমৃদ্ধ রাখাইন রাজ্যে বেশ কতগুলো কৌশলগত প্রকল্প রয়েছে, কিন্তু আরাকানের মানুষ সেগুলো থেকে উপকার পাচ্ছে না এবং দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে।
৪ জানুয়ারি রাখাইন রাজ্যের বুথিডাউং টাউনশিপে সীমান্ত পুলিশের আউটপোস্টে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে সশস্ত্র গ্রুপটি। হামলার প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্টের অফিস তাৎক্ষণিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানায়, যাদের অধীনে রয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী (তাতমাদাও)।
মেজর জেনারেল তুন মিয়াত নাইং বলেন, আরাকান আর্মি ফেডারেল পলিটিক্যাল নেগোসিয়েশান অ্যান্ড কনসালটেটিভ কমিটির (এফপিএনসিসি) প্রণীত সাধারণ নীতির সাথে একমত। জাতিগত সাতটি সশস্ত্র গ্রুপ নিয়ে এই কমিটি গঠিত, যেটার নেতৃত্ব দিচ্ছে ইউডাবি�উএসএ। আরাকান আর্মি বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের ভেতরে বাইরে আরাকান জনগণের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে।
শান্তি আলোচনায় যোগ দেয়ার জন্য সরকার যে ন্যাশনওয়াইড সিজফায়ার এগ্রিমেন্ট প্রস্তাব করেছে, তার বদলে এই সাধারণ নীতি নিয়ে এসেছে এফপিএনসিসি। এতে ১৫টি দাবি জানানো হয়েছে এবং রাজ্যের ভবিষ্যৎ কাঠামো হিসেবে কনফেডারেশান সিস্টেমের দাবি জানানো হয়েছে।
আরাকান ন্যাশনাল পার্টির ভাইস চেয়ারপার্সন দাও আয়ে নু সেইন আরাকান আর্মির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে, তিনি উল্লেখ করেন যে এএনপি আরাকান জনগোষ্ঠির দাবি ও আকাক্ষাগুলৌ প্যাংলং পিস কনফারেন্সে তুলে ধরেছে। তবে সেগুলো ফেডারেল রাষ্ট্র ব্যবস্থার সীমা ছাড়িয়ে গেছে বলে, সেগুলোর সমালোচনা করা হয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ