বিশ্বব্যাংকের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্টের তালিকায় ইভানকার নামের কঠোর সমালোচনা
লিহান লিমা: বিশ্বব্যাংকের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্টের নামের তালিকায় মার্কিন ফার্স্ট ডটার ইভানকা ট্রাম্পের নাম থাকার বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কংগ্রেস সদস্যরা। গার্ডিয়ান।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম এর হুট করেই পদত্যাগের কয়েকদিনের মাথায় এই সংবাদ আসায় টুইটার ব্যবহারকারীরা বলছেন, কিমের পদত্যাগের সঙ্গে ইভানকার মনোনায়নের সম্পর্ক রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান টেড ক্রুজ টুইটারে হাস্যরস করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন মানুষই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। এর মধ্যে ইভানকাই সবচেয়ে যোগ্য, যিনি কিনা নিজের ব্যবসার বাজার হারিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্টে কন্যা।’
ডেমোক্রেট দলের দাতা টম স্টিয়ার বলেন, ‘আমার শোনা সবচেয়ে জঘন্য প্রস্তাবের মধ্যে এটি একটি। স্বজনপ্রীতি দুনীর্তির আরেকটি অংশ, তাই আমি অবাক হচ্ছি না, কিন্তু অর্থহীনতার এই মাত্রা নেয়া যাচ্ছে না।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এবং ট্রাম্প সবসময়ই যে কোন গুরুত্বপর্ণ পদের জন্য তার ইভানকা ও জামাই জ্যারেড কুশনারকে সেরা মনে করে আসছেন। এর আগে ইভানকাকে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবেও ট্রাম্প ভাবছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গত মার্চে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন পদত্যাগ করার পর দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন ইভানকা। ২০১৭ সালে জি-২০ সম্মেলনে কিছুক্ষণের জন্য প্রেসিডেন্টের আসনে বলেন তিনি। রীতিবিরুদ্ধ এসব আচরণ ইভানকাকে সমালোচনার মুখে ফেলে। এর আগে ‘ফায়ার এন্ড ফুরি’ তে লেখক মাইকেল উলফ বলেছিলেন, ট্রাম্পের নিয়োগের চেয়েও উচ্চপদের স্বপ্ন দেখেন তিনি। হতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিয়োগে ডিরেক্টর বোর্ডের ভোটের প্রয়োজন হলেও প্রেসিডেন্টের মনোনায়নই ঐতিহ্যগতভাবে নিয়োগকার্য নির্ধারণ করেন। ২০১২ সালে কিমকে নিয়োগ দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সম্পাদনা : ইকবাল খান