শ্রমিকদের কেনো রাস্তায় আসতে হয়, সেটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে : অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
খায়রুল আলম : অর্থনীতিবিদ অ্যধাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেছেন, পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনটি গত কয়েকদিন ধরে চলছে। তাদের যে পয়েন্টগুলো উত্থাপন করেছে তা খুবই যৌক্তিক। বর্ধিত মজুরি কথা বলেও যদি দেখে তাদের মজুরি কমে গেছে, তাহলে তো তাদের ক্ষোভ হওয়ারই কথা।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি বলেন, বিভিন্ন কারখানাতে শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়াটি দুর্বল হওয়ার কারণে এমন সমস্যাগুলো হয়। তাদের যদি সংগঠন করার অধিকারটি ঠিকমতো থাকতো, তাহলে মালিক পক্ষের সাথে ভালোভাবে কথা বলতে পারতো। মালিক পক্ষেরও যদি সেই দৃষ্টিভঙ্গি থাকতো যে, শ্রমিকদের অভিযোগ শুনবে তাহলে অভিযোগ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো। শ্রমিকদের কেনো রাস্তায় আসতে হয় সেটি দেখা প্রয়োজন। তাদের কারখানার মধ্যে অভিযোগ করার প্রক্রিয়া থাকলে ও তার সমাধানের ব্যবস্থা থাকলে আর রাস্তায় আসতো না। তখন শ্রমিকদের আস্থা থাকবে তাদের মালিক তাদের অভিযোগ শুনছেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাছাড়া শ্রমিকদের অভিযোগের বিষয়টি যদি জাতীয় হয় তাহলে সরকারের দায়িত্ব অভিযোগ খতিয়ে দেখা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া। শ্রম মন্ত্রণালয় ও কারখানার মালিক পক্ষ যে আশ^াস দেয়, তার ওপর শ্রমিকরা ভরসা করতে পারে না। কেন পারে না সেটি দেখতে হবে। সরকার থেকে আশ^াস দিলেও বিক্ষোভ চলে, কারণ আশ^াস অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয় না। শ্রমিকরা যখন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে তখন একটি পক্ষ তাদের আশ^াস দেয়। আন্দোলন বন্ধ করার পরে আর আশ^াস দেয়া লোকগুলোর খবর থাকে না। আট থেকে নয় দিন আগে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেছে, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দেরি হওয়ার কারণে তারা এখনো রাস্তায় রয়েছে। ব্যবস্থা যতো দ্রুত হবে শ্রমিকরা ততো তাড়াতাড়ি কাজে যাবে। তা না হলে এটির মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে। যার ফলে বড় একটি সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রটা কেন সরকার বা মালিক পক্ষ তৈরি করে দিচ্ছে। সরকার পক্ষ যখন স্বীকার করছে শ্রকিদের অভিযোগ সঠিক তাহলে এটির দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে না কেনো? একজন শ্রমিক মারা গেলো সেটিরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই যে ভুলটি তৈরি হয়েছে সেটির সমাধান করতে হবে।