বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি থেকে সরে যাচ্ছে চীন ও শ্রীলংকা, নতুন যুক্ত হচ্ছে নেপাল
বিশ্বজিৎ দত্ত : বাংলাদেশের সঙ্গে চীন ও শ্রীলংকা মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করতে গিয়েও পিছিয়ে পড়েছে। গত দুই মাস এই দুটি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহ দেখালেও এখন তারা আর আগ্রহ দেখাচ্ছে না। অন্যদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে নেপাল।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চীন ইতিমধ্যেই বাংলাদেশি ৫০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। এর বাইরে চীন থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ১০ গুণেরও বেশি। বাংলাদেশ সাড়ে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য চীনে রফতানি করে। তার বিপরীতে চীন থেকে আমদানি করে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, আসলে চীন নয় আমরাই চীনের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি থেকে সরে আসার চেষ্টা করছি। কারণ আমাদের রফতানি পণ্য খুব বেশি নয়। শুল্কমুক্ত ৫০০ পণ্যই এখনো চীনে পাঠাতে পারিনি। এই অবস্থায় যদি চীনের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি হয় তবে চীনের পণ্যে বাংলাদেশ সয়লাব হয়ে যাবে। মার খাবে বাংলাদেশী পণ্য। এই অবস্থায় আমরা চীনের কোন কোন পণ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করতে পারি, তা নিয়ে চিন্তা করছি। তাদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কয়েক দফা আলোচনার পরে তারাও এখন কিছুটা পিছু হটেছে। শ্রীলংকার বিষয়ে বলেন. শ্রীলংকার সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন আর তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ধরে নিচ্ছি তারা আর আমাদের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী নয়। নতুন করে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে নেপাল। নেপালের সঙ্গে আামাদের বাণিজ্য প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের। নেপাল থেকে বাংলাদেশ আমদানি বেশি করে। এখন পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে। নেপালে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি ও গার্মেন্টের কদর রয়েছে নেপালে। সুতরাং তাদের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করলে বাংলাদেশ লাভবান হবে।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। বাংলাদেশি সকল পণ্যের ভারতে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয় ৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য অন্যদিকে বাংলাদেশ ভারতে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান