বাণিজ্যমেলায় প্রথম ছুটির দিনে চাকরিজীবীদের পদচারণায় মুখর
স্বপ্না চক্রবর্তী : উদ্বোধনের পরে প্রথম ছুটির দিন ছিলো গতকাল শুক্রবার। তাই চাকরিজীবীদের পদচারণায় মুখর মেলা প্রাঙ্গন। এই কদিন যারা মেলায় আসতে পারেন দিনের শুরুতেই স্বপরিবারে হাজির তারা।
শুক্রবার সকাল ১০টায় মেলার গেইট খোলার সাথে সাথেই মেলায় ঢুকেন ব্যাংক কর্মী ফারজানা রহমান। সাথে ২ বছরের শিশু ফাইয়াজকে নিয়ে প্রথমবারের মতো এসেছেন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়। তিনি বলেন, এবছরই ঢাকায় পোস্টিং হয়েছে। আর তাই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এবার প্রথমবার। প্রয়োজনীয় সব কিছু হাতের কাছে পাওয়ার একমাত্র জায়গা বাণিজ্য মেলা। আর তা যেহেতু আন্তর্জাতিক সেহেতু মনের মতো জিনিসপত্র পাবো এই আশা আছে।
অপর দর্শনার্থী জাহানারা বেগমতিনি বলেন, রান্নাঘরের সামগ্রী থেকে বাথরুম কিটস। সবই পাওয়া যায় এই মেলায়। তাই সারাটা বছর অপেক্ষা করি বাণিজ্য মেলার জন্য। প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস কিনতে তাই ছুটির দিনে চলে আসলাম।
যদিও মেলার মাত্র তৃতীয় দিন হওয়ায় এখনও প্রস্তুত নয় সব প্যাভিলিয়ন। তবুও যা আছে তাতেই খুশি দর্শনার্থীরা। বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনের জায়গা পেয়ে উদ্বেলিত হয়ে সোফি আক্তার জানান, ঢাকা শহরে অনেক পার্ক-বিনোদন কেন্দ্র থাকলেও মেলার মতো আমেজ কোথাও নেই। শুক্রবার সকালে তাই দুই বাচ্চাকে নিয়ে মেলায় চলে এসেছি। ওরা ওদের মতো আনন্দ করছে। আমি আমার প্রয়োজনীয় কেনাকাটাও সেরে নিচ্ছি।
মেলার সহযোগী আয়োজক প্রতিষ্ঠান রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উপ-পরিচালক ও বাণিজ্যমেলার সদস্য সচিব আবদুর রউফ বলেন, বিদেশি স্টলের কার্যক্রম শুরু হতে সবসময় একটু দেরি হয়। তবে বিদেশি মালপত্র আনতে কাস্টমসে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে। আমরা এরই মধ্যে কাস্টমসকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্যে সবাই পুরোদম কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। মেলা শুরুর পর প্রথম ছুটির দিনই মেলা জমে উঠেছে দেখে আমাদেরও ভালো লাগছে। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা আচার্য্য