জহিরুল ইসলাম : লক্ষ্মীপুরের বিসিক শিল্প নগরীতে গ্যাস ও পানিসহ নানামুখী সংকটের কারণে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে, ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। বিশেষ করে গ্যাস সমস্যার কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় মালিকদের। বর্তমানে ৯টি কারখানায় গ্যাস সংযোগ রয়েছে, বাকিগুলোর ভরসা একমাত্র লাকড়ি। এছাড়া নাজুক হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা। কাঁচামাল নিয়ে শিল্প নগরীতে প্রবেশ করতে পারছে না বড় বড় গাড়ি। খানাখন্দ আর জলাবদ্ধতায় বিসিকের সব কয়টি সড়ক। শুরু থেকেই এমন হওয়ায় কারখানা স্থাপনে আগ্রহ হারাচ্ছে নতুন নতুন শিল্প উদ্যোক্তারা। আর উৎপাদনে আসা প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিকরা রয়েছেন লোকশানে। যার ফলে এখন বন্ধ হওয়ার পথে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এ দিকে পানির টাংকি থাকলেও ১০ বছর ধরে সাপ্লাই বন্ধ থাকায় এর সুফল পাচ্ছে না কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা।
বিসিক শিল্প নগরীর সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, বিসিক শিল্প নগরীর রাস্তা আছে কিন্তু রাস্তাটি সম্পূর্ণ ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা। এতে করে কোন গাড়ী লোড আনলোড করতে পারছেনা। এ ছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক, পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে পানির নিচে থাকতে হয় আমাদের। এতে যাতায়াতসহ উৎপাদনে বিঘœ হচ্ছে। ফলে এখানকার বেশির ভাগ মালিকরাই ঋণের বোঝা টানতে গিয়ে অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এসব সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ সব সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সময় ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না পাওয়াতে অবকাঠামো মেরামত করা যাচ্ছে না। গ্যাস সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, এটি জাতীয় সমস্যা, তবে যাদের চাহিদাপত্রসহ টাকা জমা দেয়া আছে, সরকারি সিদ্ধান্তক্রমে তারাই প্রথম প্রাধান্য পাবে। এছাড়া বিসিকে পানির টাংকি শুরু থেকেই অচল আছে। ফলে পৌরসভা লাইন কিংবা নিজস্ব পাম্পের মাধ্যমে কারখানা মালিকরা পানির সমস্যা কিছুটা সমাধান করছে বলে জানান বিসিকের এ কর্মকর্তা। তবে রাস্তা-ঘাটসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন করা হলে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন উদ্যোক্তা এগিয়ে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।