রোহিঙ্গাদের নিয়ে চলছে রমরমা পাচার বাণিজ্য
আমান উল্লাহ : মিয়ানমার উপকূল থেকে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে পৌঁছে দেয়ার নামে তাদের নিয়ে আসা হচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফে। জনপ্রতি মোটা টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা পাচারে জড়িয়ে পড়ছে উপকূলীয় জেলেরা। ব্যবহার করা হচ্ছে মাছ ধরার ছোট নৌকা, ট্রলার।
সম্প্রতি টেকনাফের বাহারছরা থেকে ১৫ রোহিঙ্গাকে আটক করে বিজিবি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে দালাল চক্রের সঙ্গে চুক্তি করে ১৪ রোহিঙ্গা। টাকা পরিশোধের পর থাইল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছানোর কথা বলে তাদের টেকনাফ সৈকতের বালিয়াড়িতে নামিয়ে দেয় দালাল চক্র।
এর আগে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে ৬ দালাল ও ৩৩ রোহিঙ্গাকে আটক করে র্যাব। রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে পাঠিয়ে দালালদের বিরুদ্ধে মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে দালাল আবদুর রহমান বলেন, জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে টেকনাফে পাচার করা হয় রোহিঙ্গাদের। টাকা দিতে না পারলে নির্যাতন করা হয়। এমনকি নৌকা ডুবিয়েও দেয়া হয়। টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, শীত মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা পাচার চক্র। বিভিন্ন প্রলোভন ও প্রতারণার মাধ্যমে পাচার করা হচ্ছে তাদের। পাচারকারীদের ধরতে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। রোহিঙ্গাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যারা ফায়দা লুটতে চায়, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
টেকনাফের ইউএনও রবিউল হাসান বলেন, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরইমধ্যে নৌকার মালিক, জেলেদের সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান