অধ্যাপক আবু আহমেদ বললেন, এতো বেশি সুদ দিয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করলেই পারে সরকার
আমিরুল ইসলাম : ব্যাংক আমানতের সুদের হার কমে গেলে সঞ্চয় পত্রের সুদের হার কমিয়ে দেওয়া উচিত। সরকার এতো বেশি সুদ দিয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করলেই পারে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মানুষের আর কোথাও বিনিয়োগ করার উপায় নেই বলেই সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের পরিমাণ বাড়ছে। ব্যাংকের সুদ কমে যাওয়ার কারণেও বেড়েছে। এর অসুবিধাও রয়েছে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বেশি থাকার কারণে বাজারে সুদের হারও কমেনি ব্যাংকিং সেক্টরে। সরকারের দায় বাড়ছে। সরকার এতো বেশি সুদ দিয়ে ঋণ না নিলেও চলে। এটা যুক্তিসঙ্গত ভাবে করবে, বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে যদি সুদের হার কমানো যায় সেটা ভালো হবে। আর না হলে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বয়স্ক ব্যক্তি বা নারীদের ক্ষেত্রে বয়সের শর্ত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এটা খোলা রাখা উচিত না সবার জন্য। এখন অনেক টাকা সরকারকে সঞ্চয়পত্রের পিছনে ব্যয় করতে হচ্ছে বা পুরো রাজস্ব বাজেটের বিরাট একটা অংশ সুদ হিসেবে দিতে হেেচ্ছ। চড়াও সুদ কমানো যাচ্ছে না কারণ, অনেকের সংসারই এই সুদের টাকা দিয়ে চলে। বিশেষ করে সরকারের মধ্যে নীতিনির্ধারক যারা আছে তারা এখানে হস্তক্ষেপ করবেন না। তবে আমাদের অর্থনীতির দৃষ্টিকোন থেকে সুদটা কমানো উচিত। অতীত থেকেই সঞ্চয়পত্রের বিষয়টি চলে আসছে তবে এটা অতোটা সুবিধাজনক নয়। এটা যুক্তিসঙ্গত করা উচিত। বাজারের সুদের হার যদি কমে তবে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমিয়ে দেওয়া উচিত। এটা সহজেই করা উচিত বলে আমাদের অর্থশাস্ত্র বলে।