ভর্তিবাণিজ্য রোধে সরকারকেই কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. আনিসুজ্জামান, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ও রাশেদা কে চৌধুরী
দেবদুলাল মুন্না : সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ে বাণিজ্য থেমে নেই। উন্নয়ন ফি, পুনঃভর্তি, অন্যান্য ফি, টিউশন ফিসহ বিভিন্ন অজুহাতে টাকা আদায় করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব অপ-বাণিজ্য নিমেষেই দূর করা সম্ভব সরকার যদি এদিকে যথাযথ মনোযোগ দেয়। একটি গ্রহণযোগ্য ও অভিন্ন নীতিমালার মাধ্যমে যদি এসব প্রতিষ্ঠানকে কঠোর জবাবদিহির আওতায় আনা যায়, তাহলে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভর্তিবাণিজ্যের জন্য শিক্ষাসংশ্লিষ্টরাই দায়ী। সরকার সুশাসনের কথা বলছে। সুশাসন পরে, আগেতো শিক্ষাক্ষেত্রে ভর্তিবাণিজ্য রোধে মনিটরিং ও স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার শাসন প্রতিষ্ঠা করা হোক। শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য দেখা দিলে জাতির ভবিষ্যৎ ভালো নয়।’
অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সংখ্যার চেয়ে ভালো স্কুল, কলেজ কম। ফলে চাহিদার সুযোগ নিচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এখন ভর্তিবাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। তাহলে বন্ধ হবে ভর্তিবাণিজ্য।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘ভর্তিবাণিজ্য রোধে সরকারকেই কঠোর হতে হবে। এ বিষয়ে হাইকোর্টও রায় দিয়েছেন। এটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের। ভর্তিবাণিজ্য বেশি হয় বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে। সেখানে সরকারের মনিটরিং বাড়াতে হবে। ম্যানেজিং কমিটিগুলোই বেশিরভাগ ভর্তিবাণিজ্য করে। সেই জায়গায় সরকারকেই লাগাম টানতে হবে।’ সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব