সরকার শিপিং সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে, বললেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মৃত দু’নাবিকের পরিবার ক্ষতিপূরণ পেলো ২ কোটি ৭ লাখ টাকা
তরিকুল সুমন : সরকার শিপিং সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে সচেষ্ট রয়েছে এবং জাহাজে চাকরিরত নাবিকদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশী নাবিকদের জাহাজে চাকরিকালীন যেকোনো দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ও নাবিকদের সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর সবসময় আন্তরিক।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় নৌপরিবহন অধিদফতরের সভাকক্ষে চীন সাগরে জাহাজ ডুবিতে নিহত নাবিকদের পরিবারের মাঝে চেক বিতরণকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ এবং নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নিহত পরিবারের মানবিক বিষয়গুলো সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় থাকবে। তিনি তাদেরকে শোক কাটিয়ে উঠে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ০৬ জানুয়ারি চীনের উত্তর পূর্ব সাগরে চীনের মালবাহী জাহাজ এমভি ক্রিস্টাল এর সাথে ন্যাশনাল ইরানিয়ান ট্যাংকার কোম্পানীর মালিকানাধীন জাহাজ এমটি সানচির সাথে সংর্ঘষে এমটি সানচি জাহাজে আগুন ধরে যায় এবং এর ফলে জাহাজটি ঘটনাস্থলেই ডুবে যায়। ঐ সময়ে উক্ত জাহাজে ৩০ জন ইরানিয়ান নাবিক এবং ২ জন বাংলাদেশী নাবিক মারা যান।
বাংলাদেশী ম্যানিং এজেন্ট এস কে ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে নিয়োজিত বাংলাদেশী নাবিক সজীব আলী মৃধা এবং মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এমটি সানচি জাহাজে চাকরিতে যোগদান করেছিলো। মেরিটাইম লেবার কনভেনশন ২০০৬ মোতাবেক কোনো নাবিক চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ম্যানিং এজেন্ট ও উক্ত কোম্পানি কর্তৃক নিয়োজিত প্রটেকশন ও ইনডেমনিটি ক্লাব-এর পক্ষ হতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রটেকশন ও ইনডেমনিটি ক্লাব কর্তৃক মৃত নাবিক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের পরিবারের নিকট ১,১৯,৫৯,১৩৩ (এক কোটি উনিশ লক্ষ উনষাট হাজার একশত তেতত্তিশ ) টাকা এবং সজীব আলী মৃধার পরিবারের সদস্যদের ৮৭,৩৯,২০৫ (সাতাশি লক্ষ উনচল্লিশ হাজার দুইশত পাঁচ) টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান