ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বললেন, ভূমি, শ্রম ও পুঁজি ছাড়া সমন্বিত ও পরিশীলিত প্রয়াসই সকল সাফল্যের চাবিকাঠি
তিয়াসা চারু : এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেছেন, সমাজ ও অর্থনীতিতে টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির অভিপ্সা আকাক্সক্ষায় সকল পক্ষ ও অনুষঙ্গকে নিরবচ্ছিন্ন, নিঃশর্ত ঐকমত্যে পৌঁছানোর তাগিদে সকলকে বিচ্যুতির পরিবর্তে অন্তর্ভুক্তির অবয়বে আসার অবকাশ রয়েছে। সামষ্টিক অর্থনীতির উন্নয়ন ভাবনায় সমন্বিত উদ্যোগের প্রেরণা ও মতবাদ হিসেবে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি (ঋরহধহপরধষ ওহপষঁংরড়হ) তথা সার্বিক সামাজিক অন্তর্ভুক্তির (ঝড়পরধষ ওহঃবমৎধঃরড়হ) দর্শন বিশেষ বিবেচনা ও ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসছে। ঝড়পরধষ ইঁংরহবংং-এর ধারণা দ্রুত দৃষ্টিসীমার মধ্যে এসে যাচ্ছে। এমনকি এ কিছুদিন পর্যন্ত পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থায় অংশীদারিত্ব হিসেবে শ্রমের মূল্যায়ন সরাসরি স্বীকৃত না হলেও এটি ক্রমশ অনিবার্য উপলব্ধিতে পরিণত হতে চলেছে যে, কোনো উৎপাদন ও উন্নয়ন উদ্যোগে ভূমি, শ্রম ও পুঁজি ছাড়াও মালিক-শ্রমিক সকল পক্ষের পারস্পরিক সম্মান সমীহের সমন্বিত ও পরিশীলিত প্রয়াস প্রচেষ্টাই সকল সাফল্যের চাবিকাঠি। সূত্র : দৈনিক সংবাদ
তিনি আরও বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রমের দ্বারা দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়াও সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়াসকে সমাজবিজ্ঞানীরা কর্পোরেট কালচারের প্রেরণা হিসেবেও শনাক্ত করেন। স্থান-কাল-পাত্রের পর্যায় ও অবস্থান ভেদে উন্নয়ন ও উৎপাদনের সকলকে একাত্মবোধের মূল্যবোধে উজ্জীবিত করার প্রেরণা হিসেবে শিল্পোন্নত বিশে^ অন্তর্ভুক্তিকরণের দর্শনকে ব্যাপক বিবেচনা করা হচ্ছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশের জাতীয় নেতৃত্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশ্নে অন্তর্ভুক্তির চেতনা গোটা দেশবাসীকে ভাববন্ধনে আবদ্ধকরণের উপায় ও উপলক্ষ হিসেবে দেখাতে চাইছেন। দারিদ্র্য নিরসন থেকে শুরু করে সমাজে সম্পদের বণ্টন বৈষম্য দূরীকরণ এবং এমনকি সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও সকলকে দলমত, ধর্ম-লিঙ্গ অর্থনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে এক শামিয়ানার নিচে শামিল করতে অন্তর্ভুক্তিকরণকে মন্ত্র হিসেবে মানতে ও মানাতে আগ্রহ-উদ্যোগে অভাব নেই।