জলবায়ু পরিবর্তনে ধীরগতিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার মাটি
আসিফুজ্জামান পৃথিল : বড় উপকূলরেখা সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য লবনাক্ততা একটি বড় ধরণের সমস্যা। উপকূলীয় এলাকার পানি এবং মাটির বড় ধরণের ক্ষতি করছে লবনাক্ততা। ইউএনবি
জলবায়ু পরিবর্তণের কারণে এই লবনাক্ততা দ্রুত আরো ভেতরের এলাকার পানি এবং মাটিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এরফলে ক্ষতির শিকার হচ্ছে প্রাথমিক উৎপাদন ব্যবস্থা, উপকূলীয় জীববৈচিত্র এবং মানবস্বাস্থ্য বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। গত ৩৫ বছরে দেশটিতে লবনাক্ততার হার বেড়েছে ২৬ শতাংশ। এই বিষয়ে মংলা-রামপাল বাঁধ বাস্তবায়ন কমিটির প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মইনউদ্দিন শেখ ইউএনবিকে বলেন, ‘বাগেরহাটের দক্ষিণাঞ্চলে লবনাক্ততা বাড়ছে। এরফলে পরিবেশে বড় ধরণের প্রভাব পড়ছে। মাটিতে অতিরিক্ত লবনাক্ততায় ফসলের উৎপাদন কমে গেছে। মৌসুমি সবজির উৎপাদন কমে গেছে। ১৯৮০’র দশকের মেষ দিকে থেকে লবনাক্ততা মংলা-রামপাল এলাকার বাস্তুসংস্থানে বড় ধরণের ক্ষতি করেছে।’ তিনি আরো জানান, এই এলাকায় একসময় প্রচুর নারিকেল আর সুপারি গাছ জন্মালেও বর্তমানে তা অনেক কমে গেছে।
একই সঙ্গে স্বাদু পানির মাছের উপরেও পড়েছে লবণাক্ততার বিরুপ প্রভাব। হুট করে সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ক্যাটফিশসহ প্রাকৃতিক মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় ইদানিং ক্যাটফিশ চোখেই পড়ে না। আইসিডিডিআরবির গবেষণায় জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলে বেড়েছে গর্ভপাতের পরিমাণও। কমেছে আমন ধানের উৎপাদন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা কেন্দ্রের লবন সহসশীল ধানের জাত কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেও হারিয়ে গেছে ধানের স্থানীয় জাত। জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের প্রবল ক্ষতি করছে। সামনের দিনগুলোতে আরো করবে সন্দেহ নেই। কিন্তু মাটির যে ক্ষতি হরেয়ছে এবং হচ্ছে তা একেবারেই অপূরণীয়। সম্পাদনা : ইকবাল খান