হাজার কোটি মানুষকে খাওয়ানোর মতো ‘জীবনরক্ষাকারী খাবার’ বানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা
আসিফুজ্জামান পৃথিল : বিজ্ঞানীরা এক বিশেষ ধরণের খাবার বানিয়েছেন। এই খাবার বিশে^র নূন্যতম ক্ষতি না করেই হাজার কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিতে পারবে। বিবিসি।
সামনের দশকগুলোতে হাজারো কোটি মানুষকে কিভাবে খাওয়ানো হবে সে নিয়ে অনেক দিন ধরেই দুশ্চিন্তা করছেন বিজ্ঞানীরা। এর উত্তর হলো ‘অস্থিরমতি স্বাস্থ্য খাদ্য’। এটি হয়তো মাংস বা দুধকে সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করবে না। তবে এই খাবার আমাদের খাদ্যের সন্ধানে পৃথিবীর যেই ক্ষতি হয় তা নিশ্চয়ই কমাবে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় আমরা যদি সপ্তাহে ১ দিন গরুর মাংস খাই (প্রতিবারে ৭৫ গ্রাম বা দুই টুকরা) তবে প্রতিবছর শুধু এজন্যই ৬০৪ কেজি গ্রীন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হয়। এটি ১ হাজার ৫৪২ মাইল পেট্রোলচালিত গাড়ি চালাবার সমান। অথবা ৯৫ দিন ধরে যুক্তরাজ্যের একটি বাড়ি গরম রাখার সমান। এই পরিমাণ গরুর মাংস উৎপাদনে ১ হাজার ৭৩৫ বর্গমিটার জমির দরকার হয়, যা ৬টি টেনিস কোর্টের সমান! রোজ এক গ্লাস দুধ খেলে নিঃসরিত হয় ২২৯ কেজি গ্রীন হাউজ গ্যাস। যা ৫৮৫ মাইল গাড়ি চালানোর সমান। এটি দিয়ে ৩৬দিন বাড়ি উষ্ণ রাখা বা ৭০৩ বার গোসল করা যাবে। এছাড়াও এতে ৬৫২ বর্গমিটার জমির প্রয়োজন হয়। যা দুটি টেনিস কোর্টের সমান। সকল খাবারের ক্ষেত্রেই প্রায় কমবেশি এক গল্প। আমরা পৃথিবীর অধিকাংশ জমিই খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার করছি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের তৈরী করা এই সুপার ফুড খেলে এই ধরণের সমস্যা আর হবে না। ইউরোপ এবং আমেরিকায় লাল মাংসের চাহিদা কমবে। এশিয়ায় কমবে মাছ আর আফ্রিকায় কমবে আঁশযুক্ত সবজির চাহিদা। বিজ্ঞানীর এই আবিস্কার অনেকের কাছেই মনে হতেপারে কল্পনা। কিন্তু তারা বলছেন কল্পনা এখন বাস্তব। পৃথিবীতে জনসংখ্যা বাড়বে, কমবে খাদ্য উৎপাদন। এটিই এতোদিনের ধ্রুব সত্য। কিন্তু বিজ্ঞানীদের এই আবিস্কার আলোর মুখ দেখলে বিশে^ আর খাদ্য সঙ্কট বলে কিছুই থাকবে না। সম্পাদনা : ইকবাল খান