‘বিজলি প্লাস’ হাইব্রিড মরিচচাষে লাভবান কৃষক
ফাতেমা আহমেদ : হাইব্রিড জাতের একটি মরিচ ‘বিজলি প্লাস’। অন্য জাতের মরিচের সঙ্গে এই মরিচের বেশ পার্থক্যও রয়েছে। অন্য জাতের মরিচের সঙ্গে একই সময় এই মরিচ চাষ করলেও ফলন আসে আগে। পাওয়া যায় অনেক বাড়তি ফলন। গুণগত মানও বেশ ভালো। বাংলানিউজ
উচ্চ ফলনশীল এই মরিচ চাষ করেন কৃষক জাহিদুল ইসলাম। চলতি মৌসুমে এই কৃষক তিন বিঘা জমিতে ‘বিজলি প্লাস’ জাতের মরিচ লাগান। অন্য জাতের মরিচের আগেই তার লাগানো গাছে মরিচ চলে আসে। তাই আগেভাগেই ক্ষেতের মরিচ উঠানো এবং বিক্রি শুরু করেন তিনি।
জাহিদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যেই তিন বিঘা জমি থেকে ১০ বার মরিচ চাষ করেছেন তিনি। প্রতিবার মরিচ হয়েছে ৫০মণ করে। সবমিলে এই পরিমাণ মরিচ তিনি প্রায় ৬ লাখ টাকা বিক্রি করেছেন। বগুড়ার শেরপুর, শাজাহানপুর ও নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল এই জাতের মরিচ চাষ করে এবার অনেকটা চমক দেখিছেন।
শাজাহানপুর উপজেলার শরীপাড়ার কৃষক জাহিদুল বলেন, এই জাতের মরিচের রঙ অত্যন্ত সুন্দর। ত্বক চমৎকার মসৃন। সাইজের দিক থেকেও অত্যন্ত আকর্ষণীয়। ফলনও ভালো। কারণ তার লাগানো এই জাতের মরিচের ফলন দেখে এলাকার আশপাশের মরিচ চাষিরা অনেকটা চমকে গেছেন’ দাবি এই কৃষকের। কৃষক আনিছুর রহমান জানান, ‘বিজলি প্লাস’ জাতের মরিচ আগাম ফলন আসার দিকটা তার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয়েছে। কারণ একই সময়ে লাগানোর পর সবার আগে ক্ষেতের ফসল বাজারে তুলতে পারলে তুলনামূলক ভালো দাম পাওয়া যায়। যেটি এই জাতের মরিচ চাষ করে তিনি পেয়েছেন। ফলে এবার তিনি ‘বিজলি প্লাস’ জাতের মরিচ চাষ করে ফলন ও দাম দু’টোই ভাল পেয়েছেন। এতে অনেক লাভবান হয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের, মোছা. মাকসুদা বানু, সুজন কুমার, মোছা মাহমুদা আক্তার জানান, হাইব্রিড ‘বিজলি প্লাস’ জাতের মরিচ চাষ করে কৃষকরা অনেকটা লাভবান হয়েছেন। এই জাতের মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া আগাম ফলন হওয়ায় কৃষকরা ভাল দামও পেয়েছেন জানালেন এসব কৃষি কর্মকর্তারা।