সংবাদ প্রতিদিন : সাম্যবাদী চিনে বৈষম্য যে কতটা প্রবল তা ফের প্রকাশ্যে এল। ‘চৈনিক সমাজতন্ত্রের’ মোড়কে ওই দেশে বাড়ছে পুঁজিবাদীদের দাপট। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্র পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় রাস্তায় হামাগুড়ি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে কর্মীদের।
জানা গিয়েছে, প্রত্যেক কর্মীকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল সংস্থাটি। কর্মক্ষেত্রে তা পূরণ করা ছিল বাধ্যতামূলক। তা, আদাজল খেয়ে লেগেও পড়েছিলেন তারা। কিন্তু কোম্পানির ফাইনাল রিপোর্টে দেখা গেল অনেকেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ। তবে এই রিপোর্ট নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সংস্থাটির দেওয়া তথ্য কতটা সত্য তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। যথারীতি ‘অদক্ষ’ কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল সংস্থাটি। সমস্ত মানবিকতা জলাঞ্জলি দিয়ে কর্মীদের বধ্য করা হল ব্যস্ত সড়কে হামাগুড়ি দিতে। সংস্থাটির পতাকা হাতে ওই কর্মীদের সামনে হাঁটছিলেন অভিযুক্ত সংস্থাটির এক আধিকারিক। ব্যস্ত সড়কে এহেন কা- দেহে রীতিমতো থ বনে যান পত্থচারীরা। অনেক চালকই গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন। শেষমেশ পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে সমস্ত ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। কিন্তু সাজার এহেন ধরন দেখে চমকে উঠেছে সভ্য সমাজ। উঠেছে নিন্দার ঝড়। নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েছে সংস্থাটি। অনেকেই সংস্থার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন। তবে নির্যাতিত কর্মীদের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। চাকরি বাঁচানোর জন্য আত্মসন্মান জলাঞ্জলি দেওয়াটা কি ঠিক? উঠছে প্রশ্ন। তবে পেটের বালাই বড় ভয়ানক।
চিনের মতো উঠতি অর্থনীতির দেশে অর্থ ক্রমশই একটি বিশেষ শ্রেণির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাড়ছে পুঁজিবাদীদের দাপট। শ্রমিক আইন থাকলেও, তা ‘নাম কা ওয়াস্তে’। তাই চাকরি বাঁচাতে মরিয়া কর্মীরা অনেক কিছুই মেনে নিতে বাধ্য হন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ