আজকাল : রাত পোহালেই বিজেপি বিরোধী মহাজোটের ব্রিগেড সমাবেশ। ইতোমধ্যেই অন্যান্য রাজ্যের তাবড় নেতানেত্রীরা বাংলায় পাড়ি দিতে শুরু করেছেন। আর তার মধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে এই লোকসভা নির্বাচনের পর কী বাঙালী প্রধানমন্ত্রী? ব্রিগেডের হাইভোল্টেজ সমাবেশে যোগ দিতে আসার আগে এমনই ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি’র বিদ্রোহী সাংসদ শত্রুঘœ সিনহা। তিনি জানান, ‘আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম যখন দুই সাংসদের দল ছিল। আর তা শক্তিশালী করার চেষ্টা করে গিয়েছি। কিন্তু এখন সেই বিজেপি আর নেই।’ স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি’র অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল এই মন্তব্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
তিনি আরও জানান, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কংগ্রেস সহ-আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট তৈরি করছেন। ইতোমধ্যেই তার ফর্মুলা বহু জায়গায় কাজেও লেগেছে। হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে বিজেপি গোহারা হেরেছে। সেই ফ্রন্টকে শক্তিশালী করতে চাই। তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ইতোমধ্যেই ফেডারেল ফ্রন্টের পক্ষে মমতা ব্যানার্জির পাশে দাঁড়িয়েছে। তখনই তাকে প্রশ্ন করা হয় আপনি কি মমতা ব্যানার্জিকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান? বিহারীবাবু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবে মানুষ এবং অন্যান্য দলের নেতারা নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি দেখে। তবে আমি মনে করি তিনি সেই ধরনেরই ব্যক্তিত্বের অধিকারি। মমতাদি এখন আর আঞ্চলিক নেত্রী নন, তিনি জাতীয় স্তরের নেত্রী।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ