সুশাসনের মাধ্যমে ঋণের টাকার ব্যবহার করতে না পারলে প্রকল্পগুলোর খরচ বেড়ে যাবে, বললেন ড. মুস্তাফিজুর রহমান
খায়রুল আলম : সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের অনারারী ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, মোটের বাংলাদেশের যে বৈদেশিক ঋণ আছে এবং ঋণ পরিশোধের যে দায়ভার, সেটি বিশ্বের অনেক দেশ থেকে কম আছে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি বলেন, বিদেশি ঋণ নিয়ে আমাদের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করতে হয়। যদিও বাংলাদেশে মাথাপিছু যে ঋণ, সেটি অন্য উন্নয়নশীল দেশর তুলনায় বেশি নয়। কিন্তু যে ঋণটা আনা হচ্ছে, সেটি ভালোভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, সে বিষয়টি ভালোভাবে দেখা উচিত। আমাদের অভ্যন্তরীণ যে সম্পদ আহরণ, সেটি যদি ট্যাক্সের মাধ্যমে আরো বেশি করতে পারি, তাহলে আগামীতে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের চাপটি অনেক কমে যাবে। তবে এখন বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। ক্রমান্বয়ে এটি আরো বাড়বে। যদিও এখন পর্যন্ত সহনশীল পর্যায়ে আছে। কিন্তু আগামীতে উন্নয়নমূলক কাজ করতে যে অর্থের বিনিয়োগ করতে হবে, সে বিনিয়োগের জন্য আমাদের আরো অর্থ লাগবে। এ অর্থের বড় অংশ যাতে অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবস্থা করতে পারি, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে আমরা অনেক দেশে দেখেছি, ঋণ বাড়তে বাড়তে জিডিপির একশো শাতাংশেরও বেশি হয়ে যায়। আমাদের এখন যেহেতু জিডিপির ১৪ শতাংশ সেটি সহনশীল ও কম বলেই আমি মনে করছি। ঋণ পরিশোধের যে দায়ভার, সেটিও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। এখন চিন্তা করতে হবে কীভাবে ট্যাক্স জিডিপি বাড়িয়ে অভ্যন্তরীণভাবে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ করতে পারা যায়। তাহলে আগামীতেও আমাদের মাথাপিছু ঋণটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শুধু আমাদের দেশে নয়, অনেক উন্নয়নশীল দেশগুলোকে বিভিন্ন কারণে ঋণ নিতে হয়। তবে ঋণটি যেন ভালোভাবে ব্যবহার করা হয়, সময়মতো ব্যবহার করা হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। সুশাসনের মাধ্যমে ঋণের টাকার ব্যবহার করতে হবে। সেটি না করতে পারলে প্রকল্পগুলোর খরচ বেড়ে যাবে এবং ঋণগুলো যেহেতু পরিশোধ করতে হবে, সেহেতু দায়ভার কঠিন হয়ে যাবে।