বিশ্বের নিরাপদ এয়ারলাইন্সের তালিকায় ৫টি তারকা নিয়ে ভাল অবস্থানে বিমান বাংলাদেশ
খন্দকার আলমগীর : এ বছরও নিরাপদ এয়ারলাইন্সের প্রথম বিশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অষ্ট্রেলিয়ার কোয়ান্টাস। অন্য সব এয়ারলাইন্সের নাম বর্ণানুক্রমিকভাবে দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মোট ৪০৫টি এয়ারলাইন্সকে জরিপ করে তৈরি করা হয় এ তালিকা। মোট ১২টি বৈশিষ্ট্যকে হিসেব করে মূল্যায়ন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট শীর্ষ এসোসিয়েশনগুলোর মূল্যায়ন, বিধ্বস্ত ও দুর্ঘটনার রেকর্ড, বিমানের বয়স, কেমন লাভ করছে এসবগুলো বিবেচনা করা হয়। এ তালিকাটি প্রণয়ন করে থাকে এয়ারলাইন্স রেটিংস ডট কম বলে একটি ওয়েবসাইট।
অন্য উনিশটি নিরাপদ এয়ারলাইন্স হচ্ছেÑ এয়ার নিউজিল্যান্ড, আলাস্কা এয়ারলাইন্স, অল নিপ্পন এয়ারলাইন্স, আমেরিকান এয়ারলাইন্স, অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ক্যাথি প্যাসিফিক এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইভা এয়ার, ফিন এয়ার, হাওয়াইয়ান এয়ারলাইন্স, কেএলম, লুফথানাসা, কাতার এয়ারওয়েজ, স্ক্যান্ডেনেভিয়ান এয়ারলাইনস সিস্টেম, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, সুইস, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, ভার্জিন গ্রুপ অব এয়ারলাইন্স (আটলান্টিক ও অস্ট্রেলিয়া)।
সব বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে মোট সাতটি তারকা দিয়ে এ তালিকা করা হয়। সবচেয়ে নিরাপদ এ বিশটি বিমানসংস্থা সাতটির মধ্যেই সাতটি তারকাই পেয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানও আছে। সাতটির মধ্যে ৫টি তারকা নিয়ে এর অবস্থা বেশ ভালো বলা যায়। এ বছর বিমানের বহরে নতুন বিমানগুলো যোগ হলে বিমান বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।
এক বা দুটো তারকা পাওয়া বিমানসংস্থাগুলো সবচেয়ে অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ। এ বছর এ ধরনের মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বিমানের তালিকায় রয়েছে আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইন্স, ব্লু উইং এয়ারলাইনস, কাম এয়ার এবং ত্রিগানা এয়ার লাইন সার্ভিস। এছাড়া বিমান সংস্থাগুলোর রেটিং প্রদানকারি এ সংস্থাটি বিশ্বের নিভর্রযোগ্য ১০টি বাজেট এয়ারলাইন্সের নামও ঘোষণা করেছে। এগুলো হচ্ছেÑ ফ্লাইবি, ফ্রন্টিয়ার, এইচকে এক্সপ্রেস, জেট ব্লু, জেটস্টার অস্ট্রেলিয়া/এশিয়া, থমাস কুক, ভোলারিস, ভেইলিং, ওয়েস্ট জেট ও উইজ। মেক্সিকোর ভোলারিস ও হাঙ্গেরীর উইজ এ তালিকার নতুন সংযোজন আর আগের বছরের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে এয়ার লিঙ্গাস।
বিগত বছরগুলোতে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা কমলেও সর্বশেষ গত ১২ মাসে সেটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মার্চে বাংলাদেশি ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান নেপালে বিধ্বস্ত হলে ৫২ জন নিহত হয়, সৌভাগ্যবশত ১৯ জন বেঁচে যান।
মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৮ তে বাড়লেও বিগত কয়েক বছরে বিমান দুর্ঘটনার পরিমাণ কমে এসেছে। ২০০০ সালে ৬৪টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিলো। গত ১০ বছর আগেও বিমান দুর্ঘটনার সংখ্যা ১৫টিই ছিল। তবে ২০১৭ সালটি ছিল বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে নিরাপদ বছর, সে বছর মোট ১০টি দুর্ঘটনায় ৪৪ জন মারা যায়। আর যদি দুর্ঘটনাকে সম্ভাবনা হিসেবে নেয়া হয় সেটিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০১৮ সালের ১৫টি দুর্ঘটনাকে হিসেবে আনলে প্রতি ৩০ লক্ষ ফ্লাইটের একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার দুর্ঘটনা ঘটানো ১২টি যাত্রীবাহী বিমানের তিনটি ইউরোপে কালো তালিকভুক্ত ছিল। বাকি তিনটি ছিল কার্গো বিমান।