নোয়াখালীতে এবার ৩ সন্তানের জননীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, আটক ১
অহিদ উদ্দিন মুকুল : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চার সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনার রেশ না কাটতেই আবারো জেলার কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁিড় ইউনিয়নের নবগ্রামে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে তিন সন্তানের জননী (৩৬) কে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাকির হোসেন জহির (৩২) নামে এক মুদি ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার দুপুরে নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে গ্রেপ্তকৃতের নাম উল্লেখ করে আরো ৪-৫জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কবিরহাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আটককৃত জাকির হোসেন জহির নবগ্রামের এনামুল হকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নির্যাতিতাকে গতকাল শনিবার দুপুরে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জাকির হোসেন ওরফে জহির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আগামীকাল রোববার আদালতে প্রেরণ করা হবে।
নির্যাতিতা নারী জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর তার স্বামীকে বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে পরে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বর্তমানে ঘরে তিনি, তার মা ও তিন সন্তান রয়েছে। শুক্রবার মধ্যরাতে ঘরের সিঁদ কেটে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাতজন তার ঘরে ঢুকে। তাদের মধ্যে চারজনের মুখ বাঁধা ও তিনজনের মুখ খোলা ছিল। তারা ঘরে ঢুকে প্রথমে থানা থেকে এসেছে বলে তার স্বামীকে খুঁজতে থাকে। পরে তারা তার ছোট মেয়েকে বেঁধে এবং অন্যদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরে থাকা ৬০ হাজার টাকা, কিছু স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এর মধ্যে তিনজন তাকে ধর্ষণ করে।
কবিরহাট থানার ওসি মির্জা মোহাম্মদ হাছান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিম বাদী হয়ে ঘটনায় জড়িত ছিল এমন চার জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদের মধ্যে জাকির হোসেন জহিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসার ডা. ফজলে রাব্বানী বলেন, ভিকটিমকে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে।