নির্বাচন কমিশনের ব্যয়ের উপর কর চেয়ে চিঠি পাঠাচ্ছে এনবিআর
বিশ্বজিৎ দত্ত : নির্বাচন কমিশনের ব্যয়ের উপর কর চেয়ে চিঠি পাঠাতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ৭০০ কোটি টাকা ব্যায় করেছে। এর বাইরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ইভিএম প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই ইভিএমে এখন পর্যন্ত কত টাকা ব্যয় হয়েছে তারও হিসাব চ্ওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যায়ের উপর এটিই প্রথমবারের মতো কর আরোপ বলে রাজস্ব বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে।
রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের ব্যয়ের উপর কোন কর ছাড় নেই। সুতরাং তারা নির্বাচনে যা ব্যয় করেছে তার উপরে উৎসে কর রয়েছে। এর পরিমাণ কাজের ধরনের উপর নির্ভর করছে। তবে সর্ব নি¤œ কর হবে শতকরা ৬ শতাংশ ও সর্বোচ্চ হবে ১২ শতাংশ। যেমন ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করিয়েছেন এমন ব্যয়ের উৎসে কর হবে ৬ থেকে ৭ শতাংশ। কিন্তু কনসালটেন্সি ফি দিয়েছেন এমন কাজে ফি হবে ১২ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের হিসাবে দশম জাতী সংসদ নির্বাচনে তারা ব্যয় করেছেন ৭০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে আইন শৃংখলা রক্ষার জন্য ব্যয় হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা ও নির্বাচন পরিচালনায় ব্যয় হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে
নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন গণ মাধ্যমকে জানিয়ে ছিলেন, ১৬০ কোটি টাকা নির্বাচন পরিচালনাকারী কর্মিদের পেছনে ব্যয় হয়েছে। ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য ৩০ কোটি টাকা। মূদ্রণ সামগ্রী কেনার জন্য ১০ কোটি টাকা। স্ট্যাম্প, কালি, সিল কেনার জন্য ৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
অন্যদিকে ইভিএম প্রকল্পও রাজস্ব বোর্ড থেকে কোন ধরনের কর রেয়াত নেয়নি। সুতরাং তাদের ইভিএম ক্রয় ও কনসালটেন্সি ব্যায় যাই হবে তার উপর করারোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন করকর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে রাজস্ব বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ব্যয় হলেও সরকারতো নিজে কাজটা করে না। কোন ঠিকাদার দিয়ে কাজ করায়। সুতরাং সেই কাজের উপর উৎসে কেটে রাখার দ্বায়িত্ব সেই সংস্থার।