ক্রিকেটার বার্টির কাছে হেরে বিদায় শারাপোভার
স্পোর্টস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শেষ ষোলো থেকেই বাদ পড়লেন মারিয়া শারাপোভা। দারুণভাবে শুরুর পর চতুর্থ রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ান তরুণী অ্যাশলে বার্টির কাছে হেরে বিদায় নিয়েছেন ২০০৮ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন বিজয়ী। রড লিভার আরিনাতে প্রথম সেটে ৬-৪ জিতলেও দ্বিতীয় আর তৃতীয় সেটে একেবারে দাঁড়াতেই পারেননি শারাপোভা। হেরেছেন ৬-১, ৬-৪ গেমে। আর এই জয়ে ১০ বছর পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শেষ আটে নিজ দেশের কোনো নারীকে পেল অস্ট্রেলিয়া। তাছাড়া শারাপোভাকে বিদায় করা বার্টির আরেকটি বিশেষ পরিচয়, তিনি ক্রিকেটার ছিলেন।
২০১৪ সালের ইউ এস ওপেনের পর টেনিস আর ভালো লাগেনি বার্টির। তাই টেনিস ছেড়ে নেমে পড়েছিলেন ক্রিকেটে। খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগে। এমনকি বিগ ব্যাশ টি টোয়েন্টি লিগেও খেলছেন বার্টি। ২০১৬ সালে আবার ফিরে আসেন টেনিসে। আর এবার শেষ ষোলোতে তিনি হারালেন পাঁচ গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী সাবেক শীর্ষস্থানীয় শারাপোভাকে। সেই সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন শেষ আটে। টুর্নামেন্টের অন্য ম্যাচেও ঘটেছে দারুণ ঘটনা। মার্গারেট কোর্টে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা সেরেনা উইলিয়ামস হারিয়েছেন নবাগত ডায়ানা ইয়েস্ত্রমস্কাকে। ৩৭ বছর বয়সী সেরেনার সামনে দাঁড়ানো ডায়ানা মাত্রই পা দিয়েছেন ১৮ বছরে। অভিজ্ঞতার সামনে তারুণ্য একেবারে খড়কুটো হয়ে উড়ে গেলো। ১৯৯৯ সালে যখন সেরেনা যথন প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম হিসেবে তখন ডায়ানার জন্মই হয়নি। মার্গারেট কোর্টে রেকর্ড ছোঁয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলা সেরেনা জিতেছেন ৬-২, ৬-১ গেমে। তৃতীয় রাউন্ডের একপেশে এই ম্যাচ হারার পর আবেগে কেঁদেই ফেলেছিলেন ডায়ানা। তাকে কাছে গিয়ে সান্ত¡না দিয়েছেন সেরেনা। আবেগী স্বরে প্রতিপক্ষকে বলেন, ‘কেঁদো না। অসাধারণ খেলেছ, তুমি যে আগামীতে এগিয়ে যাবে, সেটা দেখাতে পেরেছ।’ কোয়ার্টার ফাইনালে সেরেনা খেলবেন সিমন হালেপের বিরুদ্ধে। সেরেনার সহজ জয়ের দিনে বাদ পড়ার শঙ্কায় কাঁপতে হয়েছিল নাওমি ওসাকাকে। তাইওয়ানের সি-সু বেইয়ের বিপক্ষে প্রথম সেটে ১-৪-এ পিছিয়ে পড়েছিলেন ইউএস ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওসাকা। ঘুরে দাঁড়িয়ে সেই সেটটি ৭-৫ গেমে জিতলেও পরের সেট হেরে বসেন ৪-৬ গেমে। শেষ সেটে অবশ্য সহজেই জিতেছেন- ৬-১ গেমে। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর রহস্য জানাতে ওসাকা বলেন, ‘আমি হাল ছাড়তে চাইনি।’