স্মিথ, ওয়ার্নার, গেইল ও হেলসকে ছাড়িয়ে বিপিএলে আলোকিত ইভান্স
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসর চলছে। পয়েন্ট টেবিলের আপ-ডাউন চলছে। এবারের আসরে খেলতে এসেছেন কত বড় বড় সব তারকা! স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নাররা খেলে চলেও গেছেন। এখনো আছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইল, অ্যালেক্স হেলসরা। আছেন মারকুটে দানব শেহজাদ ও আফ্রিদিরা। কিন্তু তারা তো পারেনইনি, সেই সঙ্গে পারেননি বাংলাদেশিদের কেউই। আগের ২২টি ম্যাচ শেষ হলেও দেখা মেলেনি শতকের। ২৩ত ম্যাচে এসে গতকাল বাজিমাত করলেন লরি ইভান্স নামের অপরিচিত এক ক্রিকেটার। ইংলিশ ‘অখ্যাত’ এই ইভান্সের ব্যাট থেকেই এসেছে ষষ্ঠ বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি। ষষ্ঠ বিপিএলে রাজশাহী বনাম কুমিল্লার ম্যাচের আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল সিলেট সিক্সার্সের সাব্বির রহমানের। গত শনিবার সিলেট পর্বের শেষ দিনে রংপুরের বিপক্ষে দারুণ ইনিংসটি দিয়ে ফর্মে ফিরেছেন তিনি। কিন্তু সবার ওপরে নিজেকে বেশি দিন রাখতে পারলেন না। ইভান্সের দারুণ এক সেঞ্চুরির কাছে জায়গা হারালেন সাব্বির।
রাজশাহী কিংসের হয়ে গতকাল মিরপুরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ইভান্স ৬২ বলে ১০৪ রানের ইনিংসটি খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই ইভান্সের প্রথম সেঞ্চুরি! প্রথমে ব্যাটিং করে রাজশাহীর ইনিংস যখন পথ হারিয়েছিল, স্কোরবোর্ড ২৮ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরেছিলেন নাফীস, মিরাজ আর মার্শাল আইয়ুব, ঠিক তখনই জ্বলে উঠলেন ইভান্স। রায়ান টেন ডোশাটেকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছিলেন ১৪৮ রানের দারুণ এক জুটি। যা বিপিএলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে বিশ্বরেকর্ড। এই জুটিতে ভর করেই কুমিল্লাকে হারিয়েছে রাজশাহী।
বিপিএলে খেলতে এসে যিনি কিছুতেই নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না, সেই ইভান্সই কাল রাজশাহীর পথ প্রদর্শক! ৯টি চার আর ৬টি ছক্কায় মাতিয়েছেন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি। খুব বেশি দর্শক তার এই ইনিংসটি দেখতে মাঠে ছিলেন না। কিন্তু যারা ছিলেন, তারা নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। ইভান্সের ১০৪ রানের সঙ্গে ডোশাটেও ছিলেন উজ্জ্বল। ডাচ ক্রিকেটার ৪১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। লরি ইভান্স নামটি খুব পরিচিত নয় বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে। ৩১ বছর বয়সী এই ইংলিশ ক্রিকেটারের এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার ভাগ্য হয়নি। খেলেছেন ডারহাম, সারে আর ওয়ারউইকশায়ারের মতো কাউন্টি দলগুলিতে। ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের একটি এক্সিলেন্স একাদশে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। খেলেছেন এমসিসির হয়েও। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বিপিএল ছাড়া শুধু আফগান প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার।