সোহেল রহমান : ‘দোহাজারী থেকে গুনদুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরামর্শক নিয়োগসহ ৫টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’। এতে চারটি ক্রয় প্রস্তাবের বিপরীতে মোট ব্যয় হবে ৭ হাজার ৫১ কোটি টাকা। বুধবার সচিবালয়ে নির্বাচন-উত্তর প্রথম ক্রয় কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী ‘দোহাজারী থেকে গুনদুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পটির মূল সমস্যা ছিল ভূমি অধিগ্রহণ। প্রয়োজনীয় জমি পাওয়া গেছে। এখন আর সমস্যা নেই। কাজও শুরু হয়ে গেছে। আগামী ২০২২ সালে এ প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা। আশা করছি, নির্ধারিত সময়েই এটি শেষ হবে।
পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পের আওতায় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের নিকটবর্তী গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রকল্পের প্যাকেজ নং এসডি-৩-এর আওতায় ‘প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পরামর্শক’ হিসেবে দরপত্রের মাধ্যমে কারিগরি বিবেচনায় ও সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে ‘ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট লিমিটেড’-কে মনোনীত করা হয়েছে। ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ এতে মোট ব্যয় হবে ৩৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব জানান, বৈঠকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি পর্যায়ে চার ক্যাটাগরির মোট ১৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন গ্যাস অয়েল, ১ লাখ মেট্রিক টন জেট এ-১ ফুয়েল, ৩০ হাজার মেট্রিক টন মো-গ্যাস ও ১ লাখ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল রয়েছে। এতে আনুমানিক মোট ব্যয় হবে ৬ হাজার ৭৭২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
তিনি জানান, বৈঠকে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারায় গ্যাস/ আর-এলএনজি ভিত্তিক ৫৯০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি নির্মাণ করবে ‘ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড’।
তিনি জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ফর ডিস্ট্রিবিউশন কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ জোন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৭৫টি প্রি- পেমেন্ট মিটার এবং তদসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ সেবাসহ যন্ত্রাংশ ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এছাড়া ‘এলেঙ্গা-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক (এন-৪) প্রশস্তকরণ শীর্ষক প্রকল্পের একটি প্যাকেজ (ডব্লিউপি-০৩) কাজের দরপত্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা আচার্য্য