টিউলিপের প্রতিবাদের জয়; প্রক্সিভোট দিতে পারবেন পিতৃ-মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা ব্রিটিশ এমপিরা
আসিফুজ্জামান পৃথিল : অবশেষে জয় হলো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকীর প্রতিবাদের। এখন থেকে হাউজ অব কমন্সে প্রক্সি ভোট দেওয়া যাবে এক বছরের জন্য। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দেরা লিডসাম এই ঘোষণা দিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ান।
সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ভোট দিতে নিজের সন্তান জন্মদানের তারিখ ২ দিন পিছিয়ে দেন লেবার এমপি টিউলিপ। কারণ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অসুস্থ বা গর্ভাবস্থাতেও প্রক্সি ভোটের কোন ব্যবস্থা নেই। তাই হুইলচেয়ারে করে ওয়েস্ট মিনিস্টারে আসতে বাধ্য হন টিউলিপ। এমনকি রীতি মেনে তাকে স্পিকারের সামনে ঝুঁকতে পর্যন্ত হয়েছে। এরপরই প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সচেতন মহল। প্রথমে সবাই ভেবেছিলো টিউলিপের ভোট অন্য কেউ দিতে পারবেন। কিন্তু পরে কনজারভেটিভরা জানান, ভোট দিতে চাইলে টিউলিপকে স্বশরীরেই ওয়েস্ট মিনিস্টারে এসে ভোট দিতে হবে।
কমন্স নেতা লিডসাম জানান, এই বিষয়ে এমপিদের আনা একটি প্রস্তাব আগামী ২৮ জানুয়ারি অর্ডার পেপারে অনুমোদনের জন্য উত্থাপিত হবে। তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে কমন্সকে জানাতে চাই, মাতৃত্বকালীন ও পিতৃত্বকালীন সময়ে প্রক্সি ভোটের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব আজ উত্থাপিত হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি তা অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। এটি পার্লামেন্ট এবং সন্তানের দায়িত্বের মধ্যে একটি বেছে নেওয়া বাতিল করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এরফলে পার্লামেন্ট আরো আধুনিক কর্মক্ষেত্রে পরিণত হবে।’
কনজারভেটিভরা পেয়ারিং সিস্টেমে রাজি না হওয়ায় চিকিৎসকদের সিজারিয়ানের পরামর্শ পিছিয়ে ভোট দেন টিউলিপ। তার কন্যার জন্মের সময় সৃষ্ঠ জটিলতার কারণেই চিকিৎসকরা এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। পেয়ারিং সিস্টেম অনুযায়ী একজন এমপি ভোট না দিতে পারলে বিপক্ষ দলেরও এক এমপি ভোটদানে বিরত থাকেন। টিউলিপ কনজারভেটিভদের এই ঘটনার জন্য দায়ী করে বলেন, ‘দলীয় সুবিধা নেওয়ার জন্য জেষ্ঠ্য রাজনীতিবিদরা প্রক্সি ভোটিং চাচ্ছেন না। এটি খুবই দু:খজনক।’ থেরেসা মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় অন্য লেবার এমপিদের মতোই বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন টিউলিপ। ফলশ্রæতিতে ভোটাভুটিতে ২৩০ ভোটের রেকর্ড ব্যবধানে হেরে যান থেরেসা। সম্পাদনা : ইকবাল খান