রাজশাহীকে হারিয়ে সুপার ফোরের দৌড়ে সিলেট
এল আর বাদল : বিপিএলে হারতে হারতে কোনঠাসা সিলেট দলটি হঠাৎ জ্বলে উঠলো। এবার সুপার ফোরের দৌড়েও টিকে রইলো তারা। ৯ ম্যাচের মধ্যে সিলেটের জয় মাত্র তিনটি। ঝুলিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোরের দৌড়ে থাকার প্রাণপণ চেষ্টা কাপালীবাহিনীর। গতকালের ম্যাচে কোনো অর্ধশতক বা শতকের ইনিংস না থাকলেও ২০ ওভার শেষে সিলেট সিক্সার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮০ রান। তাতে প্রতিপক্ষ রাজশাহী কিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১০৪ রানেই। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা সিলেট ৭৬ রানে ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে যাওয়ার স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রাখলো।
টুর্নামেন্টের শুরুতে সিলেট সিক্সার্স অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের কাঁধে ভর দিয়ে ভালোই করছিল, কিন্তু তার বিদায়ের পর দলের দায়িত্ব দেয়া হয় পাকিস্তানি সোহেল তানভীরকে। হেরে সুপার ফোর থেকে খানিকটা দূরে ছিটকে পড়ে সিলেট। অবশেষে জয় আসল অলোক কাপালির হাত ধরে। গতকাল রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে সিলেটের অধিনায়ক ছিলেন কাপালি।
গতকাল চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে টস জিতে সিলেট সিক্সার্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রাজশাহী কিংস। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সাব্বির রহমানের উইকেট হারায় সিলেট। আরেক ওপেনার লিটন দাস করেন ১৩ বলে ২৪ রান।
এরপর দুই নম্বরে ব্যাট করতে আসা ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় এগিয়ে নেন সিলেটকে। ২৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সেকুগে প্রসন্নর বলে। আফিফ হোসেন তখনও দলের ভিত গড়ার চেষ্টায়। তার ব্যাটে আসে ২৯ বলে ২৮ রান। এরপর নিকোলাস পুরানের ১৯, আলোক কাপালির ১৬ আর শেষদিকে সোহেল তানভীরের ১০ বলে ২৩ রান মিলে ৬ উইকেটে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ পায় সিলেট সিক্সার্স। রাজশাহীর হয়ে ২ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উড়তে থাকা কিংসরা থিতু হতে পারেনি সিলেটের বোলারদের সামনে। দুই ওপেনার এভিন লুইস ১ আর মুমিনুল ফেরেন ৫ রান করে। দুই নম্বরে ব্যাট করতে এসে ফজলে রাব্বি খেলেন ৪১ বলে ৫০ রানের ইনিংস।
সিক্সার্সদের হয়ে সোহেল তানভীর ও মোহাম্মদ নেওয়াজ নেন ৩টি করে উইকেট। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব