ড. আতিউর রহমান বললেন, সেবা দিতে পারলে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আরো বাড়বে
আমিরুল ইসলাম : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, আমরা যদি সেবা দিই তাহলে সৌদি আরবের কয়েকশো কোটি ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনার মতো আরো অনেক প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসবে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) বা প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আরো বেশি হওয়া উচিত। আমরা ভিয়েতনাম থেকে অনেক পেছনে পড়ে আছি। এমনকি মায়ানমার থেকেও অনেক পেছনে পড়ে আছি এফডিআইএ। সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে কয়েকশো কোটি ডলারের এফডিআই আসছে এটা খুব ভালো খবর। আমার ধারণা যে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এখন বিরাজ করছে তার ফলে আরো প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে। আরো বেশি এফডিআই অর্জনে আমাদের যেটা করতে হবে, আমরা যদি আরও বেশি এফডিআই চাই তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণটা খুব দ্রুত করতে হবে। কারণ বিদেশি যারা বিনিয়োগ করে তাদের কাছে অনেকগুলো দেশ আছে। বাংলাদেশে যদি তারা বিনিয়োগ করতে না পারে তাহলে তারা ভিয়েতনামে যাবে। ভিয়েতনামে না পারলে তারা মায়ানমানরে যাবে। সেখানেও না পারলে তারা কম্বোডিয়াতে যাবে। সেজন্য একনম্বর হচ্ছে, সময়মতো সিদ্ধান্ত দিতে হবে। দুই নম্বর হচ্ছে, যে সমস্ত সেবা লাগবে তাদের যেমন, বিদ্যুৎ,পানি এগুলোর নন- স্টপ সার্ভিস দিতে হবে। এক জায়গা থেকে সার্ভিস দিতে হবে। এ ধরনের বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নেয়া উচিত তারা যেন সেবা পেতে কোনো কষ্ট না হয়। বড় বড় উদ্যোক্তারা আসবে তারা যেন সার্ভিসগুলো সময়মতো পায়। শুধু নম্বর নয়, কোয়ালিটি সার্ভিস যেন পায়। কোনো উদ্যোক্তা দেশ যদি দুই মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত চায়, আমরা দুই মাসে সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে তাহলে তার টাকাটা যে দুই মাস আটকে রাখলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য, এ দুই মাসের জায়গায় ছয়মাস লাগলে তাহলে তার টাকাটার খরচ বেড়ে যায়। এটা কে দেবে? এজন্য সময়মতো দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া খুব জরুরি। সেজন্য বিডা, বাংলাদেশ ব্যাংক, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি সবাইকে সমন্বিত উপায়ে আমাদের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য আলাদা একটা টাস্ক ফোর্স থাকা উচিত। যেন এ ধরনের বিনিয়োগের কাজ দ্রুত শেষ করা যায়। এধরনের কাজ একদম ওপর থেকে বা প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে করা উচিত বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।