বাড়ি বাড়ি আবাদ করে সারা বছরের নিরাপদ সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব, বললেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সবজি মেলায় ৩ দিনে বিক্রি হলো ২২ লাখ টাকা
মতিনুজ্জামান মিটু : গতকাল রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটরিয়ামের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, আগে প্রত্যেক বাড়িতে দুই চারটি গাছ লাগিয়ে ওই পরিবারের সারা বছরের নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্মত সবজির চাহিদা মেটানো হতো।
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, এক সময় গ্রামের বাড়ি বড়ি এক ধরনের মরিচ ও বেগুন দেখা যেতো, যা সারা বছর চাষ হতো। এখন আর তা দেখা যায় না। সেই মরিচ ও বেগুন ফিরিয়ে আনার জন্য কৃষি সংশ্লিষ্টদের আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, শুধু নিরাপদ ও পুষ্টিমানের সবজি নয়। সারা বছরের নিরাপদ প্রাণীজ আমিষ অর্থাত মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম গ্রহনের পরিমানও বাড়াতে হবে। মেলায় ৩ দিনে ২২ লাখ টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ অমিদাভ দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) ড. মো. আব্দুর রৌফ।
চতুর্থবারের মতো জাতীয় সবজি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শাক-সবজি আবাদে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জেলা ও মেলায় অংশগ্রহনকারী স্টলের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার মেসার্স প্রবাস স্মৃতি এগ্রো ফার্মকে প্রথম ও নাটোরের সদর উপজেলার দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্ম অ্যান্ড নার্সারীকে দ্বিতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। শাক-সবজি উৎপাদনে হেক্টর প্রতি গড় ফলন সর্বোচ্চ ও দেশের সবজির চাহিদা পূরনে বিশেষ অবদান রাখায় জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছে রাজশাহী, দ্বিতীয় সাতক্ষীরা ও যৌথভাবে তৃতীয় কক্সবাজার এবং মাদারীপুর জেলা।
স্টলের যথার্থতা, সাজসজ্জা, প্রদর্শিত দ্রব্যের মান ও পরিমাণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা উপস্থাপন করে জাতীয় সবজি মেলা ২০১৯ এ অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং তৃতীয় কৃষি বিপনন অধিদপ্তর (ড্যাম)। বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে এসিআই সীড, এসিআই লিমিটেড, দ্বিতীয় লাল তীর সীড লিমিটেড এবং তৃতীয় মেটাল এগ্রো লিমিেিটড। মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
মেলায় সরকারি ১০টি ও বেসরকারি ৫৪টি প্রতিষ্ঠানের ৭৪টি স্টল ও ৪টি প্যাভেলিয়ন অংশ নেয়। ২৭ প্রকারের শিম ও ২৩ প্রকারের আলুসহ ১৩৬ প্রকারের শাক-সবজি প্রদর্শিত হয় এবারের মেলায়। ‘নিরাপদ সবজি করব চাষ, পুষ্টি মিলবে বার মাস’ প্রতিপাদ্যে এ মেলার আয়োজক কৃষি মন্ত্রণালয়। সম্পাদনা : আনিস রহমান