আমিরুল ইসলাম : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, গত মুদ্রানীতির ব্যর্থতার কারণগুলো বিশ্লেষণ করে সেটা থেকে উত্তরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই নতুন মুদ্রানীতির সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নতুন মুদ্রানীতি এখনো ঘোষিত হয়নি। আমার ধারণা, আগের মুদ্রানীতি যেরকম ছিলো এবারো একই ধরনের থাকবে। এখন মুদ্রানীতির সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। প্রথমত ব্যাংকিং খাতের যে পরিস্থিতি, ব্যাংকিং খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। তারপরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি অনেকটা কমে। খেলাপি ঋণের মাত্রা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। এ সমস্যাগুলো সমাধানের কিছু দিকনির্দেশনা নতুন মুদ্রানীতিতে থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা। ইতোমধ্যে কিছু কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধানের জন্য। বিশেষ করে খেলাপি ঋণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ইনস্টিটিউশন বিভাগ থেকে ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা হচ্ছে একটা বিষয় মুদ্রানীতির। দ্বিতীয় হচ্ছে ঋণের প্রবাহ বাড়লেও ঋণটা কোথায় কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে? এটা কী প্রকৃত খাতে বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো খাতে ব্যবহার হচ্ছে অথবা এই অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে কিনা? এদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে এক্সচেঞ্জ রেট বা টাকার যে বিনিময় মূল্য, এটা ক্রমশই অবমূল্যায়িত হচ্ছে। এটা স্থিতিশীল করা যায় কিনা এবং সেটার জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে তার একটা ব্যবস্থা নতুন মুদ্রানীতিতে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত মুদ্রানীতির ব্যর্থতার কারণগুলো বিশ্লেষণ করা দরকার এবং সেই কারণগুলো বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে তার থেকে উত্তরণের জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটা নির্ধারণ করতে হবে।