শ^াসরুদ্ধকর ম্যাচে কুমিল্লার কাছে ঢাকার হার
এল আর বাদল : চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরেই গতকাল শুক্রবার বিপিএল যেনো শীতের বিকেলে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলো। চট্টগ্রামে দলগুলো রান পেলেও মিরপুরের পিচ যেনো ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে বৈরি আচরণ করছে। এই বৈরিতায় ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মধ্যকার ম্যাচ বেশ উত্তাপ ছড়ালো সমর্থকদের মাঝে। কুমিল্লার মামুলি ১২৭ রান টপকাতেই পারলো না ঢাকার সেনারা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা জিতে যায় ১ রানে।
অথচ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারাতে পারলেই সুপার ফোরে চলে যেত ঢাকা ডায়নামাইটস। শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নিতে পারলো না সাকিববাহিনী। তাদের হারে সুপার ফোরে খেলার আশা বেঁচে রইল রাজশাহী কিংসের।
১২ ম্যাচে ৬টি করে জয়-পরাজয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে রাজশাহী কিংস। কুমিল্লার কাছে হেরে ঢাকারও পয়েন্ট দাঁড়ালো ১১ ম্যাচে ১২। এতেই রাজশাহীর আশা জিইয়ে রইলো। তবে সুপার ফোরে যেতে ঢাকার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়নি। আজ শেষ ম্যাচে খুলনা টাইটানসকে হারাতে পারলেই স্বপ্নের সুপার ফোরে পৌঁছাবে ঢাকার সেনারা। যদি হেরে যায় তাহলে সুপার ফোরে চলে যাবে রাজশাহী।
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ভিক্টোরিয়ানসদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ঢাকার অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভিক্টোরিয়ানসের ব্যাটসম্যানরা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের ২০ বলে ৩৮ রান ছাড়া বাকি নয় ব্যাটসম্যানের কেউই পার করতে পারেনি ত্রিশের কোটা।
রুবেল হোসেন, সাকিবদের বোলিং তোপে ২০ ওভার খেললেও সব উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা সংগ্রহ করে মাত্র ১২৭ রান।
কুমিল্লার দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঢাকার টপ অর্ডারের চারজনই বিদায় নেন মাত্র ২৯ রানে। এরপর সুনীল নারিনের ২২ আর কাইরন পোলার্ডের ৩৪ রানে ঘুরে দাঁড়ায় ঢাকা।
নারিনকে আফ্রিদি আর পোলার্ডকে ফেরান সাইফুদ্দিন। তখন দলীয় রান ছিল মাত্র ৭১। বাকি কাজটা ভালোমতোই সামলে নিচ্ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু ১৯তম ওভারে ওহাব রিয়াজের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ আউট হয়েও নো বলের কল্যাণে বেঁচে যান রাসেল।
শেষ ওভারে যখন ১৩ রান দরকার তখন চোটে পড়া সাইফুদ্দিনকে বোলিংয়ে আনেন ভিক্টোরিয়ানস অধিনায়ক। প্রথম বলে স্ট্রাইকে থাকা রুবেল হোসেনকে ফিরিয়ে জয়ের সুভাষ দিচ্ছিলেন সাইফুদ্দিন। পরের বলে স্ট্রাইক বদল করে রাসেলকে দেন শাহাদাৎ। টানা দুই বল ডট দিয়ে পঞ্চম বলে ছয় আর পরের বলে সাইফুদ্দিনের ইয়র্কার সামলাতে পারেননি রাসেল। ব্যাটে লেগে চার হলেও ১ রানে হারের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে কুমিল্লার সাইফুদ্দিন হয়েছেন ম্যাচ সেরা। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব