• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

লিড ৩

ড. জাহিদ হোসেন বললেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কারো বিচার না হওয়ায় মামলাটা দুর্বল হয়ে গেছে

প্রকাশের সময় : February 4, 2019, 12:01 am

আপডেট সময় : February 3, 2019 at 9:11 pm

আমিরুল ইসলাম : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। রিজার্ভ চুরির তিন বছর পর অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক আরসিবিসিসহ সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহটন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতো দেরিতে মামলা করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে বিশ^ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের যারা রিজার্ভ চুরির সাথে জড়িত তাদের বিচার না হওয়ায় মামলাটা দুর্বল হয়ে গেছে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এতোদিন পরে মামলা হলো, এই যে দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলো, কোর্ট যদি বাংলাদেশ ব্যাংককে জিজ্ঞাসা করে এতোদিন কোথায় ছিলেন? তখন উত্তর কী হবে? আমাদের উত্তরটা কী হবে সেটা আমরা জানি না। সেজন্য মামলাটা কতোটা সফল হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। আমাদের উদ্দেশ্য তো চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনা ও অপরাধীদের শাস্তি দেয়া। ফিলিপাইনের আদালতে ইতোমধ্যে অনেকের শাস্তি দেয়া হয়ে গেছে। আমাদের মধ্যে যদি কেউ অপরাধী থেকে থাকে তাদের তো আমরা এখনো বিচারের আওতায় আনতেই পারিনি। তারপর এতো বছর পরে আমরা মামলাটা করলাম সেটা হয়তো মামলা না করার চেয়ে ভালো। এর ফলাফল কতোটা পাওয়া যাবে সেটা নির্ভর করছে আমরা যে কেসটা ফাইল করেছি তার সাথে কতোটা প্রমাণ আমরা দিতে পেরেছি।। কেন এতো দেরিতে মামলা করা হলো তার যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা বাংলাদেশ ব্যাংক যদি না দিতে পারে তাহলে এ মামলাটা কতোটা সফল হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবে। এজন্য একটা বিস্তারিত তথ্য এ মামলার জন্য লাগবে। তবে এখানে একটা গোপনীয়তা রাখতে পারে বাংলাদেশ। কারণ যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা যদি জেনে যায় তাহলে তাদের পক্ষে প্রস্তুতি নিতে সহায়ক হবে। সেজন্য হয়তো কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। আমার মনে হয় এ মামলাটাতে আমাদের দুর্বলতা যেটা রয়ে গেছে সেটা হচ্ছে আমরা নিজেরা যে রিপোর্টটা করেছি, ফরাসউদ্দিন রিপোর্ট, সে অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ না নেয়া। ফরাসউদ্দিন রিপোর্ট তিন বছরেও প্রকাশ হয়নি। প্রকাশ না হওয়ার একটা যুক্তি আমরা রাখতে পারি। এখানে গোপনীয়তা রক্ষা করার একটা ব্যাপার আছে, কিন্তু ব্যবস্থাও তো নেয়া হয়নি। এখন আদালত যদি প্রশ্ন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারা জড়িত, তোমরা তো চিহ্নিত করেছিলে। কারা হ্যাকারদের সঙ্গে মিলে এ কাজটা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেন? এতোদিন পর আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা কেন? এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের উত্তর কী হবে, এটা পরিষ্কার নয়। এর একটা যুক্তিসঙ্গত উত্তর না থাকলে আমাদের মামলা দুর্বল হয়ে যাবে। মামলাটার মধ্যে তিনটা দেশের সরকারের একটা বোঝাপড়া থাকতে হবে যে দেশের আইনে বিচারটা হবে। নিজেদের মধ্যে একটা চুক্তি না থাকলে বিচারটা কীভাবে হবে? কিছু টেকনিক্যাল জটিলতা তো আছেই।

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)