৩৩ ভুল মামলায় ৩৮৪ বছর কারাদন্ড হয়েছিলো জাহালমের
অলক কুমার : পাটকল শ্রমিক জাহালমের ৩৮৪ বছর কারাদÐ দেওয়া হয়েছিল দুদকের ৩৩টি ভুল মামলায়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে আদালতের নজরে আসে। পরে দুদকের করা ভুল মামলায় দীর্ঘ তিন বছর কারাভোগের পর হাইকোর্টের নির্দেশে ৩ ফেব্রæয়ারি রোববার রাতে মুক্ত পান তিনি। এই জাহালমের বিরুদ্ধে পাঁচ বছর আগে সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৩টি মামলা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাহালম টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
দুদকের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারের পর আসামি সালেকের পরিবর্তে জাহালমকেই ৩ বছর কারাভোগ করতে হয়েছে। জাহালম বলেন, দুদক কর্মকর্তাদের বারবার বলার পরও তারা আমার কোনো কথাই শোনেনি। ওই সময় আমাকে মারপিটও করা হয়। আমি কখনও ভাবিনি এই মিথ্যে মামলার জট খুলবে। মিডিয়া আসল তথ্য প্রকাশ করে আমাকে মুক্ত করায় মিডিয়ার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তিনি আরো বলেন, আমিও চাই প্রকৃত দোষীর শাস্তি হোক। তবে আমার মতো নিরাপরাধ ব্যক্তিকে যেন দুদক না ফাঁসাতে পারে সেজন্য দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাহালমকে দুদকে হাজির হতে বলা হয় দুদকের দেয়া চিঠিতে। জাহালম সেসময় নরসিংদীর ঘোড়াশালের বাংলাদেশ জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। যথা সময়ে দুদকে হাজিরা দিয়ে জাহালম আবার তার নরসিংদীর জুট মিলের কর্মস্থলে চলে যান। এর দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি নরসিংদীর ঘোড়াশালের ওই জুট মিল থেকে জাহালমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জাহালমকে নাগরপুর থানায় আনা হয়। পরদিন টাঙ্গাইলের আদালতে তাকে তোলা হলে জেলখানায় পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। ৭ দিন টাঙ্গাইল কারাগারে রাখার পর তাকে কাশিমপুর-২ কারাগারে নেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই বন্দি ছিলেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান, ওমর ফারুক