ড. জাহিদ হোসেন বললেন, অর্থনৈতিক কাঠামো নিশ্চিত করার জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনায় হটস্পট নির্ধারণ করা প্রয়োজন
নাঈমা জাবীন :বিশ^ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, একটি সুদৃঢ় ও সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক কাঠামো নিশ্চিত করার জন্য মূল্য পরিস্থিতি, বিনিময় হার, ব্যাংকিং এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনায় হট স্পট নির্ধারণ করা প্রয়োজন। মুদ্রাস্ফীতির বিচারে, অতিসাম্প্রতিক প্রবণতাগুলোতে দেখা যায়, খাদ্যদ্রব্যের মূল্যহ্রাসের বিপরীতে খাদ্যবহির্ভ‚ত মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলছে, তাই এখানে অতিরিক্ত শক্তি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এক্সচেঞ্জ রেট নমনীয়তার বৃদ্ধির ওপর একটি স্পষ্ট এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থান রফতানি এবং আমদানি বাণিজ্যের মধ্যে দায়িত্বশীল আচরণকে সহজতর করবে। এনপিএলএস সমস্যার সমাধান, ভালো ক্রেডিট ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রক নিরস্ত্রীকরণ হ্রাস, জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেট শাসন সংস্কার এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে আর্থিক নীতি এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা করার অনুমতি দেয়া, সুদের হার কমিয়ে রাখতে এবং সিঙ্গেল ডিজিটে রাখতে সহায়তা করবে। আর সবশেষে রাজস্ব স্থান সম্প্রসারণ এবং জনসাধারণের ক্রয় মান উন্নত করতে রাজস্ব নীতি পুনর্বিবেচনা, পরিষেবা সরবরাহ উন্নত এবং মানের অবকাঠামো নির্মাণ করতে সাহায্য করবে এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগকে উদ্দীপ্ত করে, মানবিক পুঁজি গঠনকে বাড়িয়ে এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের শক্তিকে মুক্ত করার মধ্যমে বাংলাদেশের দ্রæত বর্ধিত তরুণ শ্রমশক্তির জন্য আরও বেশি এবং ভালো কাজ তৈরি করার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেয়ার এবং সমষ্টিগত স্থিতিশীলতার জন্য যথেষ্ট হবে না, এর জন্য প্রয়োজন কাঠামোগত সংস্কার। সংস্কারের সঙ্গে স্থিতিশীলতার জন্য মধ্যম আয়ের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করার বাধাহীন যেকোনো উপায় এবং নেতিবাচক ঝুঁকির বিরুদ্ধে সেরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। বৃহত্তর অর্থনৈতিক অস্থিরতার ফলে বৈশ্বিক আর্থিক সংকট জীবনযাপনের মানের ওপর যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে সেগুলো তুলে ধরা। অর্থনৈতিক কার্যকলাপের বড় পরিবর্তন, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, অস্থিতিশীল ঋণ মাত্রা এবং বিনিময় হার সেইসঙ্গে পুঁজি বাজারের অবিশ্বাস সবই কর্মহীনতা এবং দারিদ্র্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে এবং এসডিজি অর্জনের অগ্রগতিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই স্থায়ী এবং সর্বব্যাপী উন্নয়নের জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা একটি পূর্বশর্ত। অর্থনৈতিক সংস্কার মানে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠান, নীতি, আইন এবং প্রবিধান পরিবর্তন। সূত্র : যুগান্তর