মোস্তাফিজুর রহমান বললেন, অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি ৪ বছরে শত মিলিয়ন ছাড়াবে
মারুফুল আলম : সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সিনিয়র ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি এ বছর ২০% গ্রোথ হয়েছে, আগামি ৩ বা ৪ বছরে তা ১০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। যারা আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা দেখলেন, পণ্যের মান দেখলেন, এটার কস্ট দেখলেন, সরবরাহ সক্ষমতা দেখলেন, তারা কিন্তু পরবর্তীতে আমদানির অর্ডার দেবে। রোববার বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, পণ্যের মান পরিচিতি, দেশের পরিচিতি, বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং এর জন্য আরো জায়গা রাখা বা সুযোগ সৃষ্টি করা এ জায়গাগুলোতে অবশ্যই আরো বেশি নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, রফতানি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। অপ্রচলিত পণ্য, যেগুলো রেডিমেট গার্মেন্টসের বাইরে থেকে অর্ডার দেয়া ও নেটওয়ার্কিং করা হয়, আস্তে আস্তে এসব পণ্যগুলো পরিচিতি পাচ্ছে। এভাবে পণ্য পরিচিত হলে পরবর্তীতে রপ্তানি বৈচিত্রকরণ এবং বাজার বৈচিত্রকরণে কাজে লাগে। বাংলাদেশের বর্তমান রপ্তানি ৩৬ হাজার মিলিয়ন ডলার। সেই তুলনায় রপ্তানি অর্ডার ২০০ কোটি বা ২৫ মিলিয়ন তেমন বড় না। বাংলাদেশে রপ্তানীযোগ্য পণ্যের পরিচিতি গুরুত্বপূর্ণ এবং রপ্তানি বৃদ্ধিতে সে বিবেচনাই সমীচীন।
তিনি মনে করেন, আমাদের অনেক ভালো ভালো পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে স্থানীয় বাজারকে সামনে রেখে। তারা বাইরে যেয়ে মার্কেটিং করতে পারেন না। এখানকার অবকাঠামোকেও শক্তিশালী করতে হবে। এক্ষেত্রে বাইরের আমদানিকারক ও অ্যাম্বেসিগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। এখন ভারতের মতো সারাবছরই প্রগতি ময়দানের মতো একটি জায়গায় আমাদো পণ্যগুলোকে ডিসপ্লে করা, সেসব জায়গায় আমাদের যেতে হবে। এক মাসে একটা তো ফেয়ার হয়, আমার মনে হয়, আমাদেরকে স্থায়ীভাবেও একটি ব্যবস্থাপনার দিকেও একটি চিন্তা করতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার যে মান বা পরিবেশ থাকা প্রয়োজন, সেটি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিকে অনেক ঘাটতি আছে। যেহেতু আমরা আন্তর্জাতিক বলছি, তাই এটার মানটাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হতে হবে। এখানে স্থান সংকুলানের ব্যাপার আছে। যারা আসবেন, তারা যাতে নেটওয়ার্কিং এর স্পেসটা পান সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। বিদেশে প্রোডাক্ট এর ব্র্যান্ডিং এর জন্য পণ্য পরিচিতি সেমিনার করা হয়। ওখানে বাইরের এবং দেশের বিভিন্ন এক্সপার্টরা পণ্যের গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা করেন। এগুলো করে তারা দেশের ব্র্যান্ডিংটাকে প্রচার করেন। এতে যারা আসেন তাদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং হয়। এবং তাৎক্ষণিকভাবে অর্ডার না হলেও এই কারণে পরবর্তীতে রপ্তানি অর্ডার আসে। আমরা যে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করছি, সেসব পণ্য সাশ্রয়ে রপ্তানী করার সক্ষমতা আমাদের আছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র উৎপাদকদের দিক থেকে। এসব সুযোগ সুবিধাগুলো আমাদের বাড়াতে হবে।