বেসিক ব্যাংকের বোর্ডের কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব ও স্বাধীনভাবে কাজ করা নিশ্চিত করতে পারলে হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে, বললেন ড. জাহিদ হোসেন
খায়রুল আলম : বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, বেসিক ব্যাংকের মূল সমস্যা হচ্ছে, সেখানে সুশাসন ছিলো না। অভ্যন্তরীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দুর্বলতা, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ঝুঁকিকে অবহেলা, এগুলো এখন সামনে আসলেও একটা সময় এসব ক্ষেত্রে তারা দক্ষতা প্রমাণ করেছিলো।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো ব্যাংকের মধ্যে একটি ছিলো বেসিক ব্যাংক। ব্যক্তি মালিকানা, সরকারি মালিকানা দুটি মিলেই বেসিক ব্যাংক একটি ভালো অবস্থানে ছিলো। সরকারি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যেতে পারে, সেটার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ ছিলো বেসিক ব্যাংক। পরে গিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বড় ধরনের একটা ছন্দপথ হলো তাদের পারফরমেন্সে। সেটা মূলত তাদের নতুন নিয়োগের সময় ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা বা পেশাদারিত্বের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি তাই। প্রচুর স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। পরে অবশ্য বোর্ডের চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন সেটির কি আবস্থা আমি ঠিক জানি না। বোর্ড কতোটা স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনা হচ্ছে, সেটি দেখার বিষয়। ব্যাংকটির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যদি পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করা যায় তাহলে প্রতিষ্ঠানটির হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরে আসবে বলে আমি মনে করি। ব্যাংকটিকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখতে হবে এবং বোর্ডকে পেশাদারিত্বের সাথে পরিচালনা করতে হবে। নিয়মনীতিগুলো এমনভাবে করতে হবে, যাতে বোর্ডের নিয়োগ প্রাপ্তরা যেন পেশাদারিত্ব ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। তাহলে একটি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আমি আশা করি।