বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন, নিরাপত্তায় ১০ হাজার কর্মী
মিলটন খন্দকার : টঙ্গীর কহরদরিয়া খ্যাত তুরাগ নদীর তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার চূড়ান্ত প্রস্তুতির কাজ। ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। এদিন দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে দেশের সবচে বড় জুম্মার নামাজ। বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে ময়দানের প্রস্তুতি কাজ চলছে বিরামহীনভাবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর গতকাল সোমবার বিকালে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ইতোমধ্যে ইজতেমার ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকী কাজ আগামি ২-৩ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এবার ইজতেমা এক পর্বে হওয়ার কারণে ৬৪ জেলার মুসল্লিরা একসঙ্গে বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেবেন। এতে করে মুসল্লিদের চাপ থাকবে প্রচুর। মুসল্লিদের নিরাপত্তা, চলাচল, অযু গোসল ও পায়ঃনিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, মুসল্লিদের যাতায়তের জন্য ১২৩টি বিশেষ ট্রেন, ৪০০টি বিআরটিসি বাস, পর্যাপ্ত লঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ইজতেমা ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হবে। এ জন্য ৯ হাজার পুলিশ, দুই শতাধিক র্যাব, ৩ শতাধিক আনসার, ৩ শতাধিক ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি প্রস্তুত থাকবে।
তিনি জানান, দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ইজতেমা মাঠে মোতায়েন থাকবে। এতে প্রায় ১০ হাজার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরো ইজতেমা মাঠ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখবে।
তিনি আরো জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চলাচলের জন্য ১৭টি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে বসানো হবে। থাকবে ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার। আকাশে কয়েকটি হেলিকপ্টার টহল দিবে। নিরাপত্তা, বিশুদ্ধ খাবার ও আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে সমাধানের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রতিদিন ৩০টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ওষধ ও চিকিৎসক থাকবে। জেলা প্রশাসক জানান, সারাবিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশ থেকে মুসল্লিরা ৫৪তম এ বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে।
অবকাঠামো, রাস্তাঘাট উন্নয়ন ১২ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। পরিসেবার মধ্যে পয়ঃনিষ্কাশন ও পানির ব্যবস্থার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর তিনতলা বিশিষ্ট ৩১টি পাকা টয়লেট নির্মাণ করেছে যাতে ৮ হাজার লোক এক সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবে। এর বাইরে সহ¯্রাধিক মোবাইল টয়লেট থাকবে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান