২০২৪ সালে উৎপাদনে যাবে মাতারবাড়ী ১২শ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র
স্বপ্না চক্রবর্তী : ২০২৪ সালের জানুয়ারীতে মাতারবাড়ীর আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ৬শ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটির উৎপাদন শুরুর ৭মাস পরে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ৬শ মেগাওয়াটের ২য় ইউনিটটিও উৎপাদনে যাবে।
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা এলাকায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ল্যান্ড ব্যাজড এলএনজি টার্মিনাল, কোল টার্মিনাল প্রভৃতিসহ দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্প কর্মকর্তা এবং কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন সমুদ্রে ১৪.৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ২৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৮.৫ মিটার গভীর চ্যানেল নির্মাণ করা হবে। শুধু তাই নয় কয়লা ও তেল আনলোডিং এর জন্য জেটি নির্মাণ, এক্সাস্ট গ্যাস নির্গমনের জন্য ২৭৫ মি. উঁচু চিমনী নির্মাণ, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ মিটার উচু ভূমি উন্নয়ন, প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান, ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনসহ ১৩২/৩৩ কেভি ৫০/৮২ এমভিএ এর গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ, পল্লী বিদ্যুতায়নসহ দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরও দুটি ইউনিট নির্মাণের জন্য প্রকল্প এলাকায় প্রয়োজনী ভূমির সংস্থান কাজ করা হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের ২১ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি সময়ের আগেই আমরা উৎপাদনে যেতে পারবো। তিনি জানান, প্রকল্পের চলমান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে চ্যানেল ড্রেজিং কার্যক্রম, ডিএমএম ও পিভিডি পদ্ধতিতে পাওয়ার ব্লকের ভূমি উন্নয়ন কার্যক্রম, কোল ব্লকের ভূমি উন্নয়ন কার্যক্রম, প্রকল্পের কাজে ব্যবহারের জন্য অস্থায়ী জোট নির্মাণ কাজ, কর্মীদের বাসস্থান নির্মাণ ও অফিস বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৫০হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সমন্বিত প্রকল্পটির অর্থায়ন করছে জাইকা। সম্পাদনা : ইকবাল খান