গত বছর প্রায় ২০ হাজার অগ্নিকা-ের ঘটনায় ১৩০ জনের মৃত্যু, ক্ষতি ৩৮৬ কোটি টাকার
সুজন কৈরী : গত বছর দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯ হাজার ৬৪২টি অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এতে মৃত্যুর শিকার হয়েছেন ১৩০ জন। আহত হয়েছেন ৬৬৪ জন মানুষ। আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৩৮৬ কোটি টাকা। তবে গত পাঁচ বছরে এ ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব)। গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ৬ষ্ঠ ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০১৯ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ইসাব জানায়, আধুনিক জীবনে যেটি সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সেটি হচ্ছে নিরাপদ পরিবেশ। যা অফিস, শিল্প-প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে নিশ্চিত করা দরকার সবখানে। নিরাপদ পরিবেশের কথা চিন্তু করলে যেটি প্রথমই সামনে আসে তা হলো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজধানী, বিভাগীয় শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জে আগুনে পুড়ছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, অফিসসহ অন্যান্য স্থাপনা। সচেতনতা ও অগ্নিকা-ের কারণগুলো চিহ্নিত করে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রশিক্ষণসহ নির্বাপনের সরঞ্জাম রাখলে আগুনের ভয়াল থাবা থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব। ক্রেতাদের চাপে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানার বেশিরভাগই অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ব্যক্তি মালিকানাধিন অনেক ভবন, প্রতিষ্ঠান এখনো পিছিয়ে আছে। দশ বছরের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, কেবল রাজধানীতে এই সময়ে উচ্চ ভবনের হার বেড়েছে ৫১৪ শতাংশ। এসব ভবনে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা কতটুকু জোরদার করা গেছে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ। বিদ্যমানসহ নির্মিত সকল উচ্চ ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। সম্পদ ও নিরাপত্তার স্বার্থে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সবার নৈতিক দায়িত্ব বলেই মনে করে সংস্থাটি।
ইসাব জানায়, তিন দিনব্যাপী (১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে এক্সপোটি। এবারের এক্সপোতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মান, ইতালী, তাইওয়ান, তুরস্ক, চীন, ভারতসহ ২৬টি দেশের ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটির খ্যাতিমান ব্রান্ড প্রতিষ্ঠানের পণ্য প্রদর্শিত হবে। এক্সপোতে মোট স্টল থাকছে ৭০টি। মেলার কো-পার্টনার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, অ্যাসোসিয়েট পার্টনার বিটিএমএ, কল কারখানা অধিদপ্তর ও এনএফপিএ (ইউএসএ)। সাপোর্ট পার্টনার র্যাব ফোর্সেস।
১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটায় এক্সপোর উদ্বোধন করবেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান