ক্রিকেটার হতে চায় মেঘ হতাশ সাগর-রুনির পরিবার
মাসুদ আলম : সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার সাত বছর পার হলেও খুনের রহস্য উদ্্ঘাটন করতে পারেনি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। দফায় দফায় আদালত থেকে সময় বেঁধে দেওয়া হলেও দাখিল হয়নি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন। ফলে এ সাংবাদিক দম্পতিকে হত্যার বিচার আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। সাংবাদিক দম্পতির একমাত্র সন্তান ছোট্র মাহির সারোয়ার মেঘ বড় হয়ে এখন কৈশোরে। বাবার স্মৃতি বলতে ছবি তার সম্বল। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় মেঘের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়।
মেঘ বলেন, বড় হয়ে ক্রিকেটার হতে চাই। ইন্দিরা রোডের ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে খেলছি। গুলশানে ভিআইটি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে সে। মামা নওশের আলম রোমানই তাকে লালন পালন করছেন। প্রতিদিন স্কুল থেকে এসেই খেলতে যায় সে। মা-বাবার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করলেই নীরব হয়ে যায়।
মেঘের মামা নওশের বলেন, মেঘ আমাদের সঙ্গেই থাকছে। আগে মা-বাবার কথা মনে পড়লেই মেঘ কান্না করতো। এখন অনেকটা বুঝে। হত্যাকা-ের এতদিন পরও বিচার না পাওয়ায় হতাশ তারা। এমনকি হতাশাও নষ্ট হয়ে গেছে তাদের। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে না। তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেই আমাদের সঙ্গে যোগযোগ করে। তারপর আর খবর থাকে না। প্রায় ২ মাস আগে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়, তারপর আর যোগাযোগ করেনি। তারা তাদের ইচ্ছে মতো তদন্ত করছেন। সরকারের আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। আশা করি একদিন বিচার পাবো। গত সাত বছরে ৬২ বার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ নির্ধারণ করলেও বার বার সময় চেয়েছে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থাগুলো।
সাগর সারোয়ারের মা সালেহা মনির বলেন, ৭ বছরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই হত্যাকা-ের রহস্য উদ্্ঘাটনই করতে পারেনি। তারা এতো কিছু পারে কিন্তু আমার ছেলে ও ছেলে বউয়ের খুনিকে খুঁজে বের করতে পারলো না। ছেলেকে হত্যার বিচার আর পাবো বলে আশা করি না। সরকার একটু সহানুভূতি দেখালে আসল রহস্য বেরিয়ে আসতো। এদিকে গতকাল মাগরিবের নামাজের পর সাগর রুবিনর স্মরণে পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান