বিমান ভাড়া কমলেও বাড়লো হজযাত্রার ব্যয়
তরিকুল সুমন : চলতি বছর পবিত্র হজ পালনে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ ব্রত পালনের বিধান রেখে ‘হজ প্যাকেজ, ১৪৪০ হিজরি-২০১৯ খ্রিস্টাব্দ’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে হজ প্যাকেজ দুটি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অনুমোদনের কথা জানান। এসময় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিছুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রইস উল আলম মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এবার হজ পালনে প্যাকেজ-১ এ ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ এবং প্যাকেজ-২ এ ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। এ হিসেবে গত হজের তুলনায় প্যাকেজ-১ এ খরচ বেড়েছে ২০ হাজার ৫৭১ টাকা ও প্যাকেজ-২ এ বেড়েছে ১২ হাজার ৬৪১ টাকা। গত হজে প্যাকেজ-১ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা। অপরদিকে প্যাকেজ-২ এর মাধ্যমে খরচ হয় ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা।
সচিব জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এ যাওয়া হাজীদের জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ মিটারের মধ্যে বাসা ভাড়া নেওয়া হবে। আর প্যাকেজ-২ এর হাজীদের ক্ষেত্রে দুই কিলোমিটারের মধ্যে থাকবে তাদের বাড়ির অবস্থান। এক্ষত্রে প্যাকেজ-১ এর হাজীরা ট্রেনের সুবিধা পাবেন এবং প্যাকেজ ২ এর বাসের সুবিধা পাবেন।
তিনি আরো জানান, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর নিম্নে তারা কেউ প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে না। আর এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুটি প্যাকেজ বেসরকারি এসেন্সিগুলো করতে পারবে।
অপরদিকে সংশোধিত ‘জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি ১৪৩৯ (২০১৮)’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১০ আগস্ট (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ২০ হাজার জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, দুই প্যাকেজেই বিমান ভাড়া এক লাখ ২৮ হাজার টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ১০ হাজার ১৯১ টাকা কম। হজে যেতে বিমান ভাড়া কমলেও বেড়েছে প্যাকেজ মূল্য। ট্রেন ও বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির কারণে প্যাকেজ-১ ও প্যাকেজ-২ এর সার্বিক মূল্য বেড়েছে। যারা এ বছর হজে যাবেন, তাদের এমআরপি’র মেয়াদ ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে। প্রতি হজ যাত্রীকে ৬৮ রিয়াল টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ জমা রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এর আগে যারা দুইবার বা তার বেশি হজ পালন করেছেন, তাদেরকে বাড়তি হিসাবে দুই হাজার ১০০ রিয়াল বেশি দিতে হবে। একটি এজেন্সি সর্বনিম্ন ১৫০ জন এবং সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবেন। প্রতি ফ্লাইটে তিন জন মোয়াল্লেম থাকবেন। কোরবানি বাবদ পাঁচ হাজার ৫২৫ সৌদি রিয়াল ইসলামি ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে। সম্পাদনা : ইকবাল খান