নতুন গবেষণায় জানা গেলো জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে সুন্দরবন
আসিফুজ্জামান পৃথিল : জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা সুন্দরবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে। বিশে^র বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সর্বশেষ স্বীকৃত আবাসভুমির এই দুসংবাদ জানা গিয়েছে সোমবার প্রকাশিত জেমস কুক বিশ^বিদ্যালয়ের এক গবেষণায়। এজেন্সিয়া ইএফই।
বিশে^র বৃহত্তম বিড়াল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য বিখ্যাত সুন্দরবন আগামী ৫ দশকের মধ্যে সম্পূর্নভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এই গবেষণার সহ গবেষক প্রফেসর বিল লরেন্স বলেন, ‘বিশে^ বর্তমানে ৪ হাজারেরও কম বাঘ টিকে রয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের কিছু বিচ্ছিন্ন এলাকাতেই এআি বাঘ দেখা যায়। জলবায়ু পরিবর্তন এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বুদ্ধির কারণে এদের পুরো প্রজাতিই সংশয়ের মুখে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও সুন্দরবন শিল্পাঞ্চল বৃদ্ধি, নতুন রাস্তা এবং অবৈধ শিকার বৃদ্ধিতেও চাপের মুখে রয়েছে বনটি।’
এই গবেষণাটির প্রধান গবেষক ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষক শরিফ মুকুল বলেছেন, দশ হাজার কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত সুন্দরবন এই গ্রহের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এটি বাংলাদেশের বাঘঞদের টিকে খাকার জন্য সবচেয়ে সংবেদনশীল এলাকা। তিনি বলেন, ‘আমাদের গবেষণার সবচেয়ে ভয়ংকর অংশ হচ্ছে বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবন ২০৭০ সালের মধ্যে পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যাবে।’ কম্পিউটার সিমুলেশন এর ভিত্তিতে এই গবেষণা সম্পন্ন করা হয়েছে।
লরেন্স বলেন, ‘সুন্দরবনে যতবেশি সংরক্ষিত এলাকা বাড়বে তত বেশি অবৈধ শিকার ও বনধ্বংস কমবে। এরফলে ভবিষ্যতের জলবায়ু সংকট এবং সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরো শক্তিশালী হবে। পৃথিবীতে সুন্দরবনের মতো কোন জায়গা আর নেই। এই অসাধারণ বাস্তুসংস্থানের দেখভাল আমাদের করতেই হবে।’ সম্পাদনা : ইকবাল খান